Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরো ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ছয় প্রতিষ্ঠানটি আরো ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদানির অনুমতি পাওয়া নতুন ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো- চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন এবং মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।

মো. হায়দার আলী বলেন, নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে (এক কোটি করে) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো, চীজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সাইনডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।

তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামে প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।

অনেকদিন ধরেই নাগালের বাইরে চলে যায় ডিমের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নিত্যপণ্যটির দাম। লাগাম টানতে অভিযান পরিচালনাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কমানো যায়নি আমিষের চাহিদা পূরণে স্বল্প আয়ের মানুষের পছন্দের পণ্যটির দাম।

জানা গেছে, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছয় প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমাদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজ, টাইগার এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি এবং অর্নব ট্রেডিংকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। । প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে বাজারে এখনো সাড়ে ১২ টাকা বা তারও বেশি দরে তা বিক্রি হচ্ছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে আরও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। পাঁচ দিনের মাথায় আরও পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

ডিম আমদানি করতে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যেগুলো হলো- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।

তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

আরো ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশের সময় : ০২:২৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ছয় প্রতিষ্ঠানটি আরো ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদানির অনুমতি পাওয়া নতুন ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো- চিজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সিন্ডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম কর্পোরেশন, বিডিএস কর্পোরেশন এবং মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।

মো. হায়দার আলী বলেন, নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে (এক কোটি করে) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো, চীজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সাইনডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।

তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামে প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।

অনেকদিন ধরেই নাগালের বাইরে চলে যায় ডিমের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নিত্যপণ্যটির দাম। লাগাম টানতে অভিযান পরিচালনাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কমানো যায়নি আমিষের চাহিদা পূরণে স্বল্প আয়ের মানুষের পছন্দের পণ্যটির দাম।

জানা গেছে, ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আপাতত ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছয় প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ডিম আমাদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজ, টাইগার এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি এবং অর্নব ট্রেডিংকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। । প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে বাজারে এখনো সাড়ে ১২ টাকা বা তারও বেশি দরে তা বিক্রি হচ্ছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে আরও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। পাঁচ দিনের মাথায় আরও পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

ডিম আমদানি করতে পাঁচটি শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। যেগুলো হলো- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ হতে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার নির্ধারিত শুল্ক বা কর পরিশোধ করতে হবে। নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না। সরকারের অন্য বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।

তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়।