Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরসা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নারীসহ নিহত ২

টেকনাফ প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ সন্ত্রাসী এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় আরসা সদস্যদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অস্ত্রসহ একজনকে আটকও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া কর্মকর্তা) ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে আরসা সন্ত্রাসী লালুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এপিবিএন পুলিশ। এ সময় অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে আরসার সন্ত্রাসীরা। তাদের গুলিতে নুর হাবা (৫০) নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হন। তিনি ওই ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের স্ত্রী। পরে পুলিশ সাধারণ রোহিঙ্গা ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের ওপর পাল্টা গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালাতে থাকে। দৌড়ে পালানোর সময় সাদেক (৩১) নামে আরসা সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাকে একটি অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের গোলাগুলি, নিহত ২

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সন্ত্রাসীরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশের দুই জন সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল।

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এবিপিএনের এজাহারের ভিত্তিতে মামলা হবে।

গত ১১ এপ্রিল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আরসার কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় আরসার আরও ৩ সন্ত্রাসীকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

আরসা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নারীসহ নিহত ২

প্রকাশের সময় : ০৯:০২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

টেকনাফ প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ সন্ত্রাসী এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় আরসা সদস্যদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অস্ত্রসহ একজনকে আটকও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া কর্মকর্তা) ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে আরসা সন্ত্রাসী লালুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এপিবিএন পুলিশ। এ সময় অভিযান পরিচালনা করলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে আরসার সন্ত্রাসীরা। তাদের গুলিতে নুর হাবা (৫০) নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হন। তিনি ওই ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের স্ত্রী। পরে পুলিশ সাধারণ রোহিঙ্গা ও নিজেদের জীবন বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের ওপর পাল্টা গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালাতে থাকে। দৌড়ে পালানোর সময় সাদেক (৩১) নামে আরসা সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাকে একটি অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের গোলাগুলি, নিহত ২

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, সন্ত্রাসীরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশের দুই জন সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল।

৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এবিপিএনের এজাহারের ভিত্তিতে মামলা হবে।

গত ১১ এপ্রিল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আরসার কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় আরসার আরও ৩ সন্ত্রাসীকে।