Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলায় পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা পাঁচ মামলার দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। বাকী তিন মামলার বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানা যায়নি।

রোববার (৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

তিনি বলেন, ৫ মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ দুই মামলায় শুনানি হয়েছে।

এর আগে, রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানায় করা পাঁচ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন আদালত। গত বুধবার (৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ৪১ মামলার মধ্যে ১৮টিতে জামিন পেলেন তিনি।

ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। একপর্যায়ে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা।

ওই ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও বিভাগীয় পুলিশ ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল। ২০২০ সালের ৭ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারী।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১৮ মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পাঁচটি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের দুটি বহাল থাকায় মোট ১৮টি মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতের এই আলোচিত নেতা। পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা, হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এই পাঁচ মামলা করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। মামলাগুলোতে অন্য যারা আসামি ছিলেন তারা জামিনে আছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

আরও দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন বহাল

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশের কাজে বাধা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলায় পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা পাঁচ মামলার দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। বাকী তিন মামলার বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানা যায়নি।

রোববার (৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

তিনি বলেন, ৫ মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ দুই মামলায় শুনানি হয়েছে।

এর আগে, রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানায় করা পাঁচ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন আদালত। গত বুধবার (৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে ৪১ মামলার মধ্যে ১৮টিতে জামিন পেলেন তিনি।

ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। একপর্যায়ে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা।

ওই ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও বিভাগীয় পুলিশ ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার একটি যৌথ দল। ২০২০ সালের ৭ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারী।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১৮ মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পাঁচটি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের দুটি বহাল থাকায় মোট ১৮টি মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতের এই আলোচিত নেতা। পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা, হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এই পাঁচ মামলা করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। মামলাগুলোতে অন্য যারা আসামি ছিলেন তারা জামিনে আছেন।