Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আয়-ব্যয় বেড়েছে জাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) বেশ কিছু নেতাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবেও বিভিন্ন সময় আলোচনায় থাকে দলটি। এ ভাঙা-গড়ার মধ্যেও ২০২৪ সালে দলটির আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূইয়া নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের কাছে জমা দেওয়া ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের অডিট রিপোর্টে থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২৪ সালের (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) পঞ্জিকাবর্ষের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গেছে, দলটি আয় করেছে ২ কেটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা। আর ব্যয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। ফলে স্থিতি এখন ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা। দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি, সদস্যের চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রি ইত্যাদি থেকে দলটি এসব আয় করে। ব্যয় হয় প্রচার কার্যক্রম, অফিস কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি খাতে।

প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে।

এর আগে ভোটের বছর ২০২৩ সালে জাপা আয় করে দুই কোটি ২২ লাখ দুই হাজার ৪০৫ টাকা। আর ব্যয় করে এক কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৫ টাকা।

২০২২ সালে তাদের আয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যাংকে স্থিতি ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা।

২০২১ পঞ্জিকা বছরে ব্যাংক জমাসহ ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা আয় দেখিয়েছিল জাতীয় পার্টি। আর ব্যয় দেখানো হয়েছিল ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির স্থীতি ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা।

২০২০ সালে জাপার ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেয় রাজনৈতিক দলগুলো।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াত, জাপাসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫০টি। প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় অডিট রিপোর্ট দেওয়ার বাইরে রয়েছে দলটি। পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন খলিলুর রহমান খলিল, মো. নুরুজ্জামান ও মাহমুদ আলম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

আয়-ব্যয় বেড়েছে জাপার

প্রকাশের সময় : ০১:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) বেশ কিছু নেতাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবেও বিভিন্ন সময় আলোচনায় থাকে দলটি। এ ভাঙা-গড়ার মধ্যেও ২০২৪ সালে দলটির আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূইয়া নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের কাছে জমা দেওয়া ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের অডিট রিপোর্টে থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২৪ সালের (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর) পঞ্জিকাবর্ষের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গেছে, দলটি আয় করেছে ২ কেটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা। আর ব্যয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। ফলে স্থিতি এখন ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা। দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি, সদস্যের চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রি ইত্যাদি থেকে দলটি এসব আয় করে। ব্যয় হয় প্রচার কার্যক্রম, অফিস কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি খাতে।

প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে।

এর আগে ভোটের বছর ২০২৩ সালে জাপা আয় করে দুই কোটি ২২ লাখ দুই হাজার ৪০৫ টাকা। আর ব্যয় করে এক কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৫ টাকা।

২০২২ সালে তাদের আয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যাংকে স্থিতি ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা।

২০২১ পঞ্জিকা বছরে ব্যাংক জমাসহ ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা আয় দেখিয়েছিল জাতীয় পার্টি। আর ব্যয় দেখানো হয়েছিল ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির স্থীতি ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা।

২০২০ সালে জাপার ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেয় রাজনৈতিক দলগুলো।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াত, জাপাসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫০টি। প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় অডিট রিপোর্ট দেওয়ার বাইরে রয়েছে দলটি। পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন খলিলুর রহমান খলিল, মো. নুরুজ্জামান ও মাহমুদ আলম।