Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি যতদিন আছি সারের দাম বাড়বে না : কৃষি উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যতদিন দায়িত্বে আছেন ততদিন সারের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সার নিয়ে একটি নীতিমালা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য জাতীয় কমিটিতে যাবে। জাতীয় কমিটির প্রধান শিল্প উপদেষ্টা। উনি বাইরে আছেন, আগামী সপ্তাহে আমরা মিটিং করে অনুমোদনটা দিয়ে দেবো। নীতিমালায় আমরা সারের ডিলারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করে চাহিদামতো সার আমদানি করে সরবরাহ করা হয়েছে। দেশে সারের কোনো ঘাটতি হয়নি, আগামী মৌসুমেও যাতে ঘাটতি না হয় সে লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সার আমদানিতে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে সার আমদানি হবে। বলা হয় সারের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি, সারের কোনো ধরনের দাম বাড়ানো হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে, কোনো অবস্থাতেই যেন সার পাচার না হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, পেট্রোবাংলা যদি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে, তারপর যে সার উৎপাদন হবে, তবুও কোনো অবস্থায় সারের দাম বৃদ্ধি পাবে না। আমি অন্তত যতদিন আছি, সারের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও লাভজনক খাতে রূপান্তর করা ছিল সরকারের অগ্রাধিকার। গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তার ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমরা ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করেছি। ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ ও শাকসবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলমূল উৎপাদনেও আমরা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে। কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। বর্ধিষ্ণু জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে বিদ্যমান জমি রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবন করছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক।
বিশেষ করে লবণাক্ততা ও খরা সহনশীল ধান ও অন্যান্য ফসলের জাত কৃষকদের মাঝে ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আলুর বাজার পরিস্থিতি, অতিরিক্ত উৎপাদন ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে তিনি আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমি যতদিন আছি সারের দাম বাড়বে না : কৃষি উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যতদিন দায়িত্বে আছেন ততদিন সারের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সার নিয়ে একটি নীতিমালা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য জাতীয় কমিটিতে যাবে। জাতীয় কমিটির প্রধান শিল্প উপদেষ্টা। উনি বাইরে আছেন, আগামী সপ্তাহে আমরা মিটিং করে অনুমোদনটা দিয়ে দেবো। নীতিমালায় আমরা সারের ডিলারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করে চাহিদামতো সার আমদানি করে সরবরাহ করা হয়েছে। দেশে সারের কোনো ঘাটতি হয়নি, আগামী মৌসুমেও যাতে ঘাটতি না হয় সে লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সার আমদানিতে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন থেকে সার আমদানি হবে। বলা হয় সারের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি, সারের কোনো ধরনের দাম বাড়ানো হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে, কোনো অবস্থাতেই যেন সার পাচার না হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, পেট্রোবাংলা যদি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে, তারপর যে সার উৎপাদন হবে, তবুও কোনো অবস্থায় সারের দাম বৃদ্ধি পাবে না। আমি অন্তত যতদিন আছি, সারের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও লাভজনক খাতে রূপান্তর করা ছিল সরকারের অগ্রাধিকার। গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং তার ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমরা ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করেছি। ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ ও শাকসবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলমূল উৎপাদনেও আমরা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের কাজ চলছে। কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। বর্ধিষ্ণু জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে বিদ্যমান জমি রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবন করছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক।
বিশেষ করে লবণাক্ততা ও খরা সহনশীল ধান ও অন্যান্য ফসলের জাত কৃষকদের মাঝে ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আলুর বাজার পরিস্থিতি, অতিরিক্ত উৎপাদন ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে তিনি আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি।