নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস পেয়েছি। যা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে, শক্তি যুগিয়েছে, সাহস যুগিয়েছে। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনো দিন ভয় পাইনি। কেন যেন মনে হতো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার জন্য।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এই প্রতিযোগিতায় পাঁচ হাফেজকে পুরস্কৃত করা হয়।
কারবালার ঘটনার আরেকটি পুনরাবৃত্তি ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনা যেন কারবালার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদের ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়। সেই রাতে আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে ছিলাম। স্বজনহারা আর্তনাদ আর ঘর-বাড়ি ছাড়া ছয়টি বছর আমাদের কাটাতে হয়েছে। ৮১ সালে আমরা দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি সেই চেনা মুখগুলো পাইনি। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়েছিল। আমি পেয়েছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর। পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষ। কাজেই সে মানুষগুলো আমার পরিবার, তারাই আমার আপনজন। তাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ।
শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময় দেন, কিছু মানুষকে কিছু কাজ দেন, এই কাজটা আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করব, রাব্বুল আলামিন আমাকে রক্ষা করবেন। এ বিশ্বাস নিয়ে আমার পথ চলা।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের প্রচার ও তার শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতেই সারা দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, একটা সময় বিএনপি ক্ষমতায় এসে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মিনার এবং সেনানিবাসে মসজিদ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সব সময়ই ইসলামের খেদমতে কাজ করে আওয়ামী লীগ।
ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে কেউ কেউ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, টেরোরিস্টদের কোনো ধর্ম নাই, তাদের কোনো দেশ বা বাউন্ডারি নাই। টেরোরিজমই হচ্ছে তাদের ধর্ম। আমি নিজে এর ভুক্তভোগী। আমি এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করার পর শত শত হুমকির চিঠি পেয়েছিলাম। সেই চিঠিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসীরা তার পক্ষ হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এমনকি বৌদ্ধও ছিল। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে এটা কি ধরনের! সেইদিন থেকেই বুঝলাম এদের আসলে কোনো ধর্ম নাই।
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তরুণরা যেন বিপথে না যায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে মাওলানা, আলেম ওলামাদের। মুসলিম উম্মাহর কোনো সংকটে যেন তৃতীয় শক্তি ঢুকতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ইমামদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবেন, যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে। ধর্মের নামে খোদার ওপর খোদকারি করবেন না। ইসলামের মর্মবাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন। সন্ত্রাস করে ইসলাম সম্পর্কে যেন কেউ বদনাম করতে না পারে, সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।
পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করি, তোমরা পবিত্র কোরআন এর মর্মবাণী ধারণ করে নিজেকে আলোকিত করবে। সমাজকে আলোকিত করবে। সমাজ থেকে কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে অবদান রাখবে। আদর্শ সমাজ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গঠনে তোমরা এগিয়ে আসবে।
জাতীয়ভাবে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য এর উদ্যোক্তা-বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রতি বছরই বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালো ফল অর্জন করছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তারা একাধিক গ্রুপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় মর্যাদা ও গৌরবের বিষয়।
জাতীয়ভাবে পবিত্র কুরআনের হিফজুল প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করতে পারা যেকোনো মুসলিম সমাজের জন্যই গৌরবের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাগ্রন্থ আল কুরআন সাধারণ কোনো গ্রন্থ নয়, এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত আসমানী কিতাব। আল্লাহতায়ালা ওহীর মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেছেন। আল কুরআন আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও মুক্তির পথ দেখায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন খাঁটি মুসলমান। তিনি যেমন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি তেমনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। বঙ্গবন্ধু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধকে বিবেচনায় নিয়ে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন এবং এর মাধ্যমে দ্বীনি খেদমতের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পর্যায়ে আজ অবধি নিয়মিত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়ে আসছে। তিনি তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী কওমী মাদ্রাসা জন্যও জমি প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কুরআন তিলাওয়াতের প্রচলন করেন। তিনিই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন। যে মদের লাইসেন্স বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিলেন তা জিয়ার আমলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হজযাত্রীদের জন্য ক্রয়কৃত জাহাজ ‘হিজবুল বাহার’কে জিয়া প্রমোদতরীতে পরিণত করে।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সাহায্য প্রেরণ করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময়ই ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর আমরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ এবং ১৭০ ফুট উঁচু মিনার নির্মাণ করি। মসজিদটিতে ৫ হাজার ৬০০ জন নারী মুসল্লীর জন্য মহিলা নামাজ কক্ষ সম্প্রসারণ এবং অযুখানা ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদটির অসমাপ্ত কাজ শিগগিরই সমাপ্ত করা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পবিত্র কুরআনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করেছি। কাওমী মাদ্রাসার ডিগ্রির সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেছি। যাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ ও জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের জন্য চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ আইন ২০২৩ প্রণয়ন করেছি।
আওয়ামী লীগ সরকার ই-হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেদ্দা হজ্জ টার্মিনালে প্লাজা ভাড়া নেওয়ায় হাজীদের দুর্ভোগ বহুলাংশে লাঘব হয়েছে। আশকোনা হজক্যাম্প আধুনিকায়ন করেছি। হজযাত্রীদের জন্য বিমান, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিসও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ কাম ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ২৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই মসজিদ কমপ্লেক্সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস, মহিলাদের জন্য পৃথক নামাজ কক্ষ, মুসলিম পর্যটক ও মেহমানদের বিশ্রামাগার, ইসলামী লাইব্রেরি, হজ প্রশিক্ষণ ও ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলতি মেয়াদে এ প্রকল্পে ১ হাজার ৫০৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৬ হাজার ৬৬০ জন আলেম-ওলামার কর্মসংস্থান হয়েছে। ৯৬ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থী মসজিদভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন।
ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দুস্থ এবং আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রাস্টের সদস্যভুক্ত ইমামদের সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। দেশের বিত্তবান মুসলিমগণ এ ট্রাস্টে অনুদান প্রদান করতে পারেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী প্রতি উপজেলায় ২টি করে ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। সারা দেশে ইসলামিক মিশনের ৫০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব দুঃখী মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ইমাম প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে আর্থিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে।
এই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা বাবা হারিয়ে যখন এদেশের মাটিতে ফিরে আসি সেই চেনামুখগুলো পাইনি যারা আমাকে এয়ারপোর্টে বিদায় দিয়েছিলেন। তাদের পেয়েছে বনানানীতে সারি সারি লাশ। তবে পেয়েছি দেশের মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস। যা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে। এজন্য আমি কোনো কিছুতেই ভয় পাইনি।
এ সময় তিনি বলেন, একটা মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। আমাদের হিসাবে আর মাত্র ১১ হাজার ঘর বাকি আছে। এরপর আর কেউ গৃহহীন থাকবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই একমাত্র লক্ষ্য সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
মুষ্টিমেয় কিছু লোক এই ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই, দেশ নেই। জঙ্গিবাদ করাই এদের ধর্ম।’ সন্তানদের আলোকিত মানুষ করতে তাদের দিকে নজর দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।