বিনোদন ডেস্ক :
বলিউড তারকা আমিশা প্যাটেল আজকাল সিনেমায় নিয়মিত নন। তাই আগের মতো আলোচনায়ও নেই। তবে ব্যক্তিগত একটি ঘটনায় ফের আলোচনায় এলেন তিনি। আইনি জটিলতায় পড়েছেন আমিশা। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন রাঁচির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাঁচির সিভিল কোর্ট চেক বাউন্স, প্রতারণার মামলায় আমিশা ও তার ব্যবসায়ীক পার্টনার ক্রুনালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের চলচ্চিত্র প্রযোজক অজয় কুমার চেক বাউন্স, প্রতারণা ও হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আমিশা ও তার পার্টনারের বিরুদ্ধে। কোর্ট সমন পাঠানোর পরও শুনানিতে হাজির হননি আমিশা-ক্রুনাল। এমনকী তাদের কোনো আইনজীবীও উপস্থিত হননি। তারপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ১৫ এপ্রিল এ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ইন্ডিয়ান পেনাল কোড ৪২০, ১২০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন অজয় কুমার সিং।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অজয় কুমার বলেন, আমিশা প্যাটেল ও তার পার্টনার আমার কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি নিয়েছেন। ২০১৩ সালে ‘দেশি ম্যাজিক’ সিনেমার শুটিং করেন আমিশা। ওই সময়ে এই অর্থ নেন। কথা ছিল, শুটিং শেষে সুদসহ সব অর্থ ফেরত দেবেন তারা। ২০১৮ সালে আমাকে দুটি চেক প্রদান করেন। একটি ২ কোটি রুপির অন্যটি ৫০ লাখ রুপির। কিন্তু দুটি চেকই বাউন্স করে।
আগামী ১৫ এপ্রিল জালিয়াতি এবং চেক বাউন্সের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন আমিশা ও ক্রুণাল রাঁচি সিভিল আদালতে উপস্থিত থাকেন কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা। এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর এই বিষয়ে আমিশা প্যাটেল, তার ব্যবসায়িক সঙ্গী ক্রুণাল কিংবা তাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ইউটিএফ টেলিফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে আমিশা ৩২ কোটি ২৫ লাখ রুপি ধার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। আমিশা অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানকে দুটি চেক দেন। কিন্তু চেকগুলো ব্যাংকে জমা দেওয়া হলে দুটি চেকই বাউন্স করে। এরপর ১০ লাখ রুপি চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল তার নামে।