নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাভারের আমিনবাজারে একটি টিনশেড ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা থেকে আগুন লেগে অন্তত ৭ যুবক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা সবাই ওই ঘরে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে সাভারের আমিনবাজার ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- আগুন লাগা বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রায়হান (২০), রাইহানের বন্ধু হাদিস (২১), নাহিদ (১৯), জুয়েল (২০), মোনারুল (২১), আলামিন (২০) ও রুবেল (২৩)।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা রায়হানের ভগ্নিপতি মো. রকিব জানান, যে ঘরটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সেই ঘরটিতে দীর্ঘদিন ধরে কেউ থাকেন না। শুক্রবার রাতে ৮ বন্ধু মিলে ওই ঘরটিতে ঢুকে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা সেখানে মুড়ি খাচ্ছিল এবং কেউ ধূমপান করছিল। হঠাৎ সেই ঘরেই আগুন লেগে সাতজন দগ্ধ হয়।
স্বজনরা জানান, দগ্ধ সবাই বিভিন্ন ছোটখাটো পেশায় নিয়োজিত আছে। তবে তাদের শরীরে কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এখনো জানা যায়নি।
তাদের মধ্যে কেউ গার্মেন্টসে কাজ করতেন, কেউ মিস্ত্রী কেউবা শপিংমলে দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ঘরটি খালি ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ছুটির দিনে তারা সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় অনেকেই ধুমপান করছিলেন।
এ ঘটনায় রায়হানের শরীরের ২৮ শতাংশ, নাহিদের ১৭ শতাংশ, হাদিসের ১৩ শতাংশ, রুবেলের ১৩ শতাংশ, আলামিনের ১২ শতাংশ ও মোনারুলের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তবে জুয়েল কি পরিমাণ দগ্ধ হয়েছেন তা জানা যায়নি। দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক ডাক্তার তরিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে সাত বন্ধু মিলে ওই ঘরে ঝালমুড়ি বানিয়ে খাচ্ছিল। এসময় অনেকেই ধুমপান করছিলেন। হঠাৎ বৈদ্যুতিক পাখা থেকে শর্টসার্কিট হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে গেলে সাত বন্ধুই দগ্ধ হন।
আমিনবাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ওই বাড়িতে সাত বন্ধু জড়ো হয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় হঠাৎ সিলিং ফ্যান থেকে আগুন ধরে যায়। বিদ্যুতের তার গলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সাতজনই দগ্ধ হন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সাত জনকেই ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা জানার জন্য সাভার থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।