Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রফতানি পণ্য বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। পণ্য রফতানি কয়েকটার মধ্যে ধরে থাকব, সেটা না। পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটা প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন করব এবং রফতানি করব।

সোমবার (২০ মার্চ) গণভবনে রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী জানিয়ে রফতানিকারকদের পণ্য বহুমুখীকরণ ছাড়াও বিদেশে নতুন নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যপণ্য রফতানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। বহু দেশ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখন নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি। কাজেই আমাদের নতুন জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। অর্থাৎ কোন দেশে কোন পণ্য দেব, তা উৎপাদন করতে হবে। পাশাপাশি সেসব ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ সুবিধাও দিতে হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের খারাপ দিকের সঙ্গে বাজার সৃষ্টির একটা সুযোগও সামনে আসছে। ওই জায়গাটা আমাদের ধরা দরকার।

মহামারি ও যুদ্ধের কারণে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সময়েও বাংলাদেশ অগ্রযাত্রা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে পারছে; যেটা অনেক দেশই পেরে ওঠেনি।

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা হঠাৎ করতে পারব না। এর জন্য আমাদের ধীরে ধীরে এগোতে হবে। সে বিষয়টির ওপরই আমাদের কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি পণ্যের বাজার বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন এবং খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে তা রফতানির ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশে। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন আমাদের রফতানি আয় ছিল ১৬ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে সেটি উন্নীত হয়েছে ৬০ দশমিক ৯৭ মার্কিন বিলিয়ন ডলারে। করোনাকালেও আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছি।

দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ এখন অনেক পণ্যই আমরা তৈরি করতে পারি। আমরা নিজেরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। তবে আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। এর চাহিদাটাও বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রফতানি পণ্য বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। পণ্য রফতানি কয়েকটার মধ্যে ধরে থাকব, সেটা না। পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটা প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন করব এবং রফতানি করব।

সোমবার (২০ মার্চ) গণভবনে রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী জানিয়ে রফতানিকারকদের পণ্য বহুমুখীকরণ ছাড়াও বিদেশে নতুন নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যপণ্য রফতানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। বহু দেশ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখন নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি। কাজেই আমাদের নতুন জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। অর্থাৎ কোন দেশে কোন পণ্য দেব, তা উৎপাদন করতে হবে। পাশাপাশি সেসব ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ সুবিধাও দিতে হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের খারাপ দিকের সঙ্গে বাজার সৃষ্টির একটা সুযোগও সামনে আসছে। ওই জায়গাটা আমাদের ধরা দরকার।

মহামারি ও যুদ্ধের কারণে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সময়েও বাংলাদেশ অগ্রযাত্রা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে পারছে; যেটা অনেক দেশই পেরে ওঠেনি।

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা হঠাৎ করতে পারব না। এর জন্য আমাদের ধীরে ধীরে এগোতে হবে। সে বিষয়টির ওপরই আমাদের কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি পণ্যের বাজার বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন এবং খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে তা রফতানির ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশে। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন আমাদের রফতানি আয় ছিল ১৬ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে সেটি উন্নীত হয়েছে ৬০ দশমিক ৯৭ মার্কিন বিলিয়ন ডলারে। করোনাকালেও আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছি।

দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ এখন অনেক পণ্যই আমরা তৈরি করতে পারি। আমরা নিজেরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। তবে আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। এর চাহিদাটাও বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।