Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের উন্নয়ন হোক সেটা বিদেশিরা চায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদেশি লোক আপনার (বাংলাদেশের মানুষ) মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায় বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের উন্নয়ন হোক সেটা বিদেশিরা চায় না। কারণ গরীব দেশ হলে তাদের সুবিধা হয়। সেকারণে তারা আমাদের দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের উন্নয়ন দেশের মানুষকেই করতে হবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি প্রকৃতি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায়। দেশ দুর্বল হলে তাদের অনেক সুবিধা হয়। তাই তারা দুর্বল করতে চায়। তাদের এই ভেলকিতে আপনারা অবগাহন করবেন না। দেশের উন্নয়ন দেশের লোক করবে, দেশের সরকার করবে। আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। জনগণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। অন্য কোনও বিদেশি কে কী বলল সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না, তার গুরুত্ব খুবই সামান্য। সরকার আছে, সরকার সেটা দেখবে।

তিনি বলেন, গত ৬ মাসে বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে নির্বাচন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আমাদের (বাংলাদেশে) নির্বাচন হওয়ার আগে আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইউএন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএন ইউএসএ ডিপার্টমেন্টে, ইউএনএ তাদের প্রত্যেক দিন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে হয়। কিন্তু এই যে আমি শ’ খানেক নির্বাচনের কথা বললাম, তাদের নিয়ে কোনও কথা নেই। এসব দেশের মূল আলোচনার বিষয় হলো অর্থনীতি। আপনারা এসব নিয়ে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এই যে প্রায় শখানেক দেশে নির্বাচন হলো, সেসব দেশের নির্বাচনের মূল আলোচ্য বিষয় হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, মুদ্রাস্ফীতি। আপনারা (সাংবাদিক) আগামীতে বাংলাদেশের নির্বাচনের ইস্যু হিসেবে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। কারণ এগুলো হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। আপনারা যদি বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ আশা করেন, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরতে হবে। আর বাকি যেসব অবান্তর কথাগুলো আসে, সেগুলো আপনার মুখ্যভাবে না দেখলেই ভালো। কারণ দুনিয়ার এতগুলো দেশে নির্বাচন হয়, কোথাও এসব কথা আসে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি প্রকৃতি কীভাবে ধরে রাখা যায় সেদিকে আলোকপাত করা উচিত। দুনিয়ার অনেক জায়গায় ইলেকশন হয়, কিন্তু সেখানে ওইসব কথাবার্তা আসে না। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থা আলোচনা করলেই দেখা যাবে কী অবস্থা ছিল। তা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের জন্য কে উপযুক্ত। জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেখলে আগামীতে আমরা কাকে নির্বাচিত করবো সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পথ আগলে রাখে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেসব দেশ উন্নত সেসব দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই তারা ইরাক, লিবিয়ার মতো মারামারি-কাটাকাটি করছে। আমরা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চাই। চাই, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত দেশ রেখে যেতে।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দেশে নারী-পুরুষ কারো নিরাপত্তা ছিল না। যখন দেশে অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপি জামায়াত নির্বাচিত হয় তাহলে বাংলাদেশে আবারও ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলাসহ নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। আবারও বাংলাদেশ দুর্নীতিতে প্রথম হবে।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলে। আমাদের উন্নয়ন হোক সেটা বিদেশিরা চায় না। কারণ গরীব দেশ হলে তাদের সুবিধা হয়। সেকারণে তারা আমাদের দেশের উন্নয়ন চায় না। আমাদের দেশের উন্নয়ন দেশের মানুষকেই করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা আছে, আঞ্চলিক স্থিরতা আছে, শান্তি আছে, সেসব দেশে উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি। ছোট দেশ সিঙ্গাপুর আজকে প্রায় ৬৫ বছর ধরে স্থির। বাপ এবং ছেলে দেশটি শাসন করছে। অথচ সিঙ্গাপুর একটি বিরানভূমি ছিল যে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দিয়েছে। সেই দরিদ্র জায়গা রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিরতার কারণে এখন এশিয়ার এক নম্বর দেশ। ইউএইর বয়স আমাদের দেশের মতো। সেটিও একটি বিরানভূমি ছিল। কিন্তু বাপ ও ছেলের ভিশন ও স্থিরতার কারণে তারা এখন পৃথিবীর হাব, আকর্ষণীয় জায়গা। স্থিরতার কারণে আরও অনেক দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আর যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা, শান্তি, শৃঙ্খলা নেই, সেসব দেশের ভরাডুবি হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে মারামারি-কাটাকাটি চাই না। আমরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আমরা যদি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অন্যথায় কী হবে জানি না।

আগামী নির্বাচনে একটি বড় পরীক্ষা হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই নির্বাচনে যদি আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে ওনার ট্রেক রেকর্ড অনুযায়ী যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই গতিধারা চালু থাকবে। অন্যথায়, ২০০১-২০০৬ এর অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আগামী নির্বাচন হবে, ভবিষ্যতে আমরা ভালো থাকব নাকি ধ্বংস হব তার নির্বাচন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ইয়েমেনে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আজকে তিনি ঢাকায় আসবেন। এটি সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং সুসম্পর্কের কারণে। আমরা প্রত্যেক দেশের সঙ্গে ব্যালেন্স পলিসি নেওয়ায় এবং সুসম্পর্কের কারণে আমরা আমাদের নাগরিককে ফেরতে নিয়ে আসতে পেরেছি।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস, রাজনীতিক বাহাদুর বেপারি, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

আমাদের উন্নয়ন হোক সেটা বিদেশিরা চায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদেশি লোক আপনার (বাংলাদেশের মানুষ) মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায় বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের উন্নয়ন হোক সেটা বিদেশিরা চায় না। কারণ গরীব দেশ হলে তাদের সুবিধা হয়। সেকারণে তারা আমাদের দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের উন্নয়ন দেশের মানুষকেই করতে হবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি প্রকৃতি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায়। দেশ দুর্বল হলে তাদের অনেক সুবিধা হয়। তাই তারা দুর্বল করতে চায়। তাদের এই ভেলকিতে আপনারা অবগাহন করবেন না। দেশের উন্নয়ন দেশের লোক করবে, দেশের সরকার করবে। আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। জনগণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। অন্য কোনও বিদেশি কে কী বলল সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না, তার গুরুত্ব খুবই সামান্য। সরকার আছে, সরকার সেটা দেখবে।

তিনি বলেন, গত ৬ মাসে বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে নির্বাচন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আমাদের (বাংলাদেশে) নির্বাচন হওয়ার আগে আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইউএন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএন ইউএসএ ডিপার্টমেন্টে, ইউএনএ তাদের প্রত্যেক দিন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে হয়। কিন্তু এই যে আমি শ’ খানেক নির্বাচনের কথা বললাম, তাদের নিয়ে কোনও কথা নেই। এসব দেশের মূল আলোচনার বিষয় হলো অর্থনীতি। আপনারা এসব নিয়ে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এই যে প্রায় শখানেক দেশে নির্বাচন হলো, সেসব দেশের নির্বাচনের মূল আলোচ্য বিষয় হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি, মুদ্রাস্ফীতি। আপনারা (সাংবাদিক) আগামীতে বাংলাদেশের নির্বাচনের ইস্যু হিসেবে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। কারণ এগুলো হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। আপনারা যদি বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ আশা করেন, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরতে হবে। আর বাকি যেসব অবান্তর কথাগুলো আসে, সেগুলো আপনার মুখ্যভাবে না দেখলেই ভালো। কারণ দুনিয়ার এতগুলো দেশে নির্বাচন হয়, কোথাও এসব কথা আসে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি প্রকৃতি কীভাবে ধরে রাখা যায় সেদিকে আলোকপাত করা উচিত। দুনিয়ার অনেক জায়গায় ইলেকশন হয়, কিন্তু সেখানে ওইসব কথাবার্তা আসে না। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থা আলোচনা করলেই দেখা যাবে কী অবস্থা ছিল। তা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের জন্য কে উপযুক্ত। জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেখলে আগামীতে আমরা কাকে নির্বাচিত করবো সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পথ আগলে রাখে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেসব দেশ উন্নত সেসব দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই তারা ইরাক, লিবিয়ার মতো মারামারি-কাটাকাটি করছে। আমরা দেশে শান্তি শৃঙ্খলা চাই। চাই, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত দেশ রেখে যেতে।

তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দেশে নারী-পুরুষ কারো নিরাপত্তা ছিল না। যখন দেশে অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপি জামায়াত নির্বাচিত হয় তাহলে বাংলাদেশে আবারও ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলাসহ নানা নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। আবারও বাংলাদেশ দুর্নীতিতে প্রথম হবে।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলে। আমাদের উন্নয়ন হোক সেটা বিদেশিরা চায় না। কারণ গরীব দেশ হলে তাদের সুবিধা হয়। সেকারণে তারা আমাদের দেশের উন্নয়ন চায় না। আমাদের দেশের উন্নয়ন দেশের মানুষকেই করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা আছে, আঞ্চলিক স্থিরতা আছে, শান্তি আছে, সেসব দেশে উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি। ছোট দেশ সিঙ্গাপুর আজকে প্রায় ৬৫ বছর ধরে স্থির। বাপ এবং ছেলে দেশটি শাসন করছে। অথচ সিঙ্গাপুর একটি বিরানভূমি ছিল যে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দিয়েছে। সেই দরিদ্র জায়গা রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিরতার কারণে এখন এশিয়ার এক নম্বর দেশ। ইউএইর বয়স আমাদের দেশের মতো। সেটিও একটি বিরানভূমি ছিল। কিন্তু বাপ ও ছেলের ভিশন ও স্থিরতার কারণে তারা এখন পৃথিবীর হাব, আকর্ষণীয় জায়গা। স্থিরতার কারণে আরও অনেক দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আর যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা, শান্তি, শৃঙ্খলা নেই, সেসব দেশের ভরাডুবি হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে মারামারি-কাটাকাটি চাই না। আমরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আমরা যদি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অন্যথায় কী হবে জানি না।

আগামী নির্বাচনে একটি বড় পরীক্ষা হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই নির্বাচনে যদি আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে ওনার ট্রেক রেকর্ড অনুযায়ী যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই গতিধারা চালু থাকবে। অন্যথায়, ২০০১-২০০৬ এর অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আগামী নির্বাচন হবে, ভবিষ্যতে আমরা ভালো থাকব নাকি ধ্বংস হব তার নির্বাচন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ইয়েমেনে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আজকে তিনি ঢাকায় আসবেন। এটি সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং সুসম্পর্কের কারণে। আমরা প্রত্যেক দেশের সঙ্গে ব্যালেন্স পলিসি নেওয়ায় এবং সুসম্পর্কের কারণে আমরা আমাদের নাগরিককে ফেরতে নিয়ে আসতে পেরেছি।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান লিটুর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস, রাজনীতিক বাহাদুর বেপারি, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।