Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি : ভোক্তার ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আইন যতই স্ট্রং হোক, আমাদের জনবল যদি ১০ গুণও বৃদ্ধি হয়, তারপরও কাজ হবে না, যতক্ষণ না আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে অ্যাঙ্গেস্ট করতে পারব। ভোক্তারা যতক্ষণ তার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট না হবে।

সোমবার (২ অক্টোবার) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার ডিজি বলেন, যেখানে জেলায় ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি সেখানে উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছি।

লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, সারাদেশে ৪৫-৪৫টি টিম আমাদের অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ১৭টি জেলায় আমরা কোনো অফিসার দিতে পারিনি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেলা-জমিমানা বা শান্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বণ বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না।

কিরন বলেন, যোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্রান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।

গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠানে অধিদফতরের মহাপরিচালক চ্যাম্পিয়ন, রানার আপসহ শ্রেষ্ঠ বক্তাকে পুরস্কার হিসেবে প্রাইজমানি প্রদানের ঘোষণা দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভেঙে অসংখ্য খানাখন্দে ৫৫০ কিলোমিটার বেহাল সড়কে, জনদুর্ভোগ চরমে

আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি : ভোক্তার ডিজি

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের আইনেরও কিছু দুর্বলতা আছে, সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আইন যতই স্ট্রং হোক, আমাদের জনবল যদি ১০ গুণও বৃদ্ধি হয়, তারপরও কাজ হবে না, যতক্ষণ না আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে অ্যাঙ্গেস্ট করতে পারব। ভোক্তারা যতক্ষণ তার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট না হবে।

সোমবার (২ অক্টোবার) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভোক্তার ডিজি বলেন, যেখানে জেলায় ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি সেখানে উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছি।

লোকবল সংকটের কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, সারাদেশে ৪৫-৪৫টি টিম আমাদের অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ১৭টি জেলায় আমরা কোনো অফিসার দিতে পারিনি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেলা-জমিমানা বা শান্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজা-পার্বণ বা কোনো উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না।

কিরন বলেন, যোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে চাহিদা বাড়লে মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনো অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্রান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।

গ্রান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠানে অধিদফতরের মহাপরিচালক চ্যাম্পিয়ন, রানার আপসহ শ্রেষ্ঠ বক্তাকে পুরস্কার হিসেবে প্রাইজমানি প্রদানের ঘোষণা দেন।