নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমরা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ কম। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে এক সময় পার্সেন্টেজের বিষয়টি নিয়মিত ঘটনা ছিল। সেটি বন্ধ করতে পেরেছি। অনেকের সময় হওয়ার আগেই বদলি করা হতো, সেটি করা যাবে না। আমরা কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি চাই না। মেট্রোরেল নিয়ে চলমান নিয়ে যে দুটি প্রকল্প শেষ করতে চাই। এর বাইরে এমআরটির নতুন কোন বড় প্রকল্প নিয়ে এগোতে চাই না। টাকা নাই সরকারের কাছে। তবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও খুলনা-যশোরের সিক্সলেন রাস্তা দ্রুত করতে চাই।
যারা মেগাপ্রকল্পে মেগা দুর্নীতির কথা বলে, তাদের বলতে চাই পদ্মা সেতুতে ১৮৩৫ কোটি টাকা সেভ করেছি। মেঘনা গোমতীসহ তিন সেতুতে ১১০০ কোটি টাকা সেভ করেছি। সরকার মেগা দুর্নীতি করেনা, মেগা সেভ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে আগে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হতো। তার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলতো। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তবে বিভিন্ন স্থানে অনেক অপকর্ম হয়। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে জনস্বার্থে কোনো প্রকল্প দরকার সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে এটাতো সরকারের সিদ্ধান্ত না, আদালত রায় দিয়েছে। এটা আদালতের এখতিয়ার।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো এ সিদ্ধান্ত দেইনি। দিয়েছেন আদালত। তারপরও আমাদের দেশের ব্যাপার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
শিক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে বসাবসি কখন হবে সেটা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পদের হিসাব দিতে পারে, এটা দেওয়া উচিৎ। এখানে আপত্তি কোথায়? আমি যদি সৎভাবে কাজ করি দিতে আপত্তি কী?
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে। মেঘনা গোমতীসহ তিন সেতুতে ১১০০ কোটি টাকা সেভ করা হয়েছে। যারা মেগাপ্রকল্পে মেগা দুর্নীতির কথা বলে, তাদের বলতে চাই, পদ্মা সেতুতে ১৮৩৫ কোটি টাকা সেভ করেছি। মেঘনা গোমতীসহ তিন সেতুতে ১১০০ কোটি টাকা সেভ করেছি। সরকার মেগা দুর্নীতি করে না, মেগা সেভ করে।