Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা আর আওয়ামী জামানার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না : নুরুল হক নুর

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা আর আওয়ামী জামানার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। সময় এসেছে, এবার যদি পরিবর্তন করতে না পারেন, পরে আফসোস করবেন। আমি বলবো না যে, আমার দলের লোককে ভোট দেন। যারা ভালো, তাদের আপনারা ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় শেরে বাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের এক্সটেনশন এজেন্ট। ভারতের একটা দাস। ভারতের গোলামি এখন একটি রাজনৈতিক দল। ২৪ গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের ঠিকানা আর বাংলাদেশে হবে না। পৃথিবীতে এই ধরনের জঘন্য গণহত্যা এবং বর্বরতার পরে কোনো রাজনৈতিক দল আর রাজনীতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আর এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনও আমাদের মধ্যেও অনৈক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের আধিপত্য, তাদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

ভিপি নুর বলেন, শুভেন্দুসহ ভারতের কিছু নেতা বলে বাংলাদেশকে দখল করে নিবে। আমরা বলি বাংলাদেশের সঙ্গে লাগতে আইসেন না, টিকতে পারবেন না। ভারতই তো অন্য দিকে দখল হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে চীন হুমকি দিচ্ছে। তাদের সামলাতে জান শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ গুঁতা দিলে ত্রিমুখী গুতায় টিকতে পারবেন না। গণঅভ্যুত্থানে শুধু আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টের পতন ঘটায়নি, ছাত্র-জনতা ভারতের আধিপত্যবাদ উচ্ছেদ করেছে। আওয়ামী লীগ ছিল ভারতের দাস। তারা এখন পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। নাম বদলে হিন্দু নাম দিয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর ঠিকানা হবে না। তাদের আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখের পরেও টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এখনও অবাধে চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগের মতো দখলবাজি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সাধারণ মানুষের রক্তচোষাদের উপস্থিতি এখনও আছে। তাদের বলতে চাই ভোট কিন্তু এখনও আসেনি। মানুষ ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ভারতের দাশে দেশকে পরিণত করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরীহ বেহায়ার মতো বলেছে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক। এই নির্লজ্জ বেহারাই ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করেছে মুসলমান থেকে হিন্দুর নাম দিয়েছে বাঁচার জন্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি ন্যায্যতার সম্পর্ক। কোনো গোলামির সম্পর্ক নয়।

সুযোগ পেলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, বন্ধ চিনিকল চালু করা ও তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানা উদ্যোগের কথা বলেন।

রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের স্বভাব-চরিত্র যদি আওয়ামী লীগের মতো হয়, ভোট কিন্তু হয়নি, সামনে আছে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে।

ভারতের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, তারা বাংলাদেশ দখলের কথা বলে। বাংলাদেশ দখল করা সহজ নয়। আপনাদের একদিক থেকে চীন গুঁতা দেয়, একদিক থেকে পাকিস্তান দেয়। চীন-পাকিস্তান সামলাতে আপনাদের জান শেষ। আপনারা বাংলাদেশের সঙ্গে লাগতে আইসেন না। তিনদিক থেকে গুঁতা শুরু হলে আপনারা টিকতে পাবেন না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাহাফুজার রহমান। এতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজিব, গণঅধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মুন্নাফ, গণসংহতি আন্দোলনের পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক সাজেদার রহমান সাজু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বিপ্লব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বিসহ গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আমরা আর আওয়ামী জামানার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না : নুরুল হক নুর

প্রকাশের সময় : ০৫:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা আর আওয়ামী জামানার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। সময় এসেছে, এবার যদি পরিবর্তন করতে না পারেন, পরে আফসোস করবেন। আমি বলবো না যে, আমার দলের লোককে ভোট দেন। যারা ভালো, তাদের আপনারা ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় শেরে বাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের এক্সটেনশন এজেন্ট। ভারতের একটা দাস। ভারতের গোলামি এখন একটি রাজনৈতিক দল। ২৪ গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের ঠিকানা আর বাংলাদেশে হবে না। পৃথিবীতে এই ধরনের জঘন্য গণহত্যা এবং বর্বরতার পরে কোনো রাজনৈতিক দল আর রাজনীতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আর এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনও আমাদের মধ্যেও অনৈক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের আধিপত্য, তাদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

ভিপি নুর বলেন, শুভেন্দুসহ ভারতের কিছু নেতা বলে বাংলাদেশকে দখল করে নিবে। আমরা বলি বাংলাদেশের সঙ্গে লাগতে আইসেন না, টিকতে পারবেন না। ভারতই তো অন্য দিকে দখল হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে চীন হুমকি দিচ্ছে। তাদের সামলাতে জান শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ গুঁতা দিলে ত্রিমুখী গুতায় টিকতে পারবেন না। গণঅভ্যুত্থানে শুধু আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টের পতন ঘটায়নি, ছাত্র-জনতা ভারতের আধিপত্যবাদ উচ্ছেদ করেছে। আওয়ামী লীগ ছিল ভারতের দাস। তারা এখন পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। নাম বদলে হিন্দু নাম দিয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর ঠিকানা হবে না। তাদের আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখের পরেও টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এখনও অবাধে চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগের মতো দখলবাজি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। সাধারণ মানুষের রক্তচোষাদের উপস্থিতি এখনও আছে। তাদের বলতে চাই ভোট কিন্তু এখনও আসেনি। মানুষ ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ভারতের দাশে দেশকে পরিণত করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরীহ বেহায়ার মতো বলেছে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি স্বামী-স্ত্রীর মতো সম্পর্ক। এই নির্লজ্জ বেহারাই ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করেছে মুসলমান থেকে হিন্দুর নাম দিয়েছে বাঁচার জন্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি ন্যায্যতার সম্পর্ক। কোনো গোলামির সম্পর্ক নয়।

সুযোগ পেলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, বন্ধ চিনিকল চালু করা ও তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানা উদ্যোগের কথা বলেন।

রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের স্বভাব-চরিত্র যদি আওয়ামী লীগের মতো হয়, ভোট কিন্তু হয়নি, সামনে আছে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে।

ভারতের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, তারা বাংলাদেশ দখলের কথা বলে। বাংলাদেশ দখল করা সহজ নয়। আপনাদের একদিক থেকে চীন গুঁতা দেয়, একদিক থেকে পাকিস্তান দেয়। চীন-পাকিস্তান সামলাতে আপনাদের জান শেষ। আপনারা বাংলাদেশের সঙ্গে লাগতে আইসেন না। তিনদিক থেকে গুঁতা শুরু হলে আপনারা টিকতে পাবেন না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাহাফুজার রহমান। এতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজিব, গণঅধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মুন্নাফ, গণসংহতি আন্দোলনের পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক সাজেদার রহমান সাজু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বিপ্লব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বিসহ গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।