Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে বলেই উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।

রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিলো; সেটা আমরা ১৮.৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিলো ২৫.৯ শতাংশ, এটা আমরা ৫.৬ ভাগে আনতে পেরেছি। ইনশাল্লাহ এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না; প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে।

তিনি বলেন, মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮-এর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো বলেই তা সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবো, সেই পরকিল্পনাও আমরা নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে ছিটমহল বিনিময় করেছি। তাহলে কেন এই অস্ত্র ব্যবসা। সেটা কেন শিশুদের খাবারের জন্য ব্যয় করা হয় না। আমরা রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছি। কারণ আমাদের মনে ছিল ৭১ এর শরণার্থী শিবিরের কথা।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক পেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের; যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবনটা দিতে হলো। যে দেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন, সেই দেশের কিছু অমানুষের হাতেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই তার এ দেশটি গড়ে উঠুক উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু নিজেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা আর চাই না অশান্তি, সংঘাত। আমরা চাই মানুষের জীবনের উন্নতি। সেই কামনাই আমরা সব সময় করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর অশান্ত পরিবেশ, প্রতি রাতে কার্ফিউ। দীর্ঘ ২১ বছর আমরা ১৯৯৬ সালে এসেছিলাম সরকারে তখন কিছু উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। অন্তত আমরা এইটুকু বলতে পারি। ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়েছিলাম।

জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতিরকথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতি আমরা আজও মেনে চলি। মেনে চলতে চাই। জাতির পিতা সব সময় মানুষের কল্যাণের নিজের জীবনকে উৎস কর্ম করছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করেছে বলেই আমরা দারিদ্রের হার কমাতে পেরেছি, সাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি, মানুষের আয়ুস্কাল বাড়াতে পেরেছি, মাতৃমৃত্যূহার কমাতে পেরেছি। মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়েই চলবে সেটা আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি মানুষ অন্তত তাদের মৌলিক অধিকার পাবে, অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এটা জাতির পিতার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য আমরা বাস্তবায়ন করে যাবো। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি, প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের অতিক্রম করতে হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জনগণই শক্তি, জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমি সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমার পথচলা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতা শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। কি দুর্ভাগ্য যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন তাকেই জীবনটা দিতে হলো, যে দেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন সেই মানুষের কিছু অমানুষের হাতে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের শান্তি রক্ষায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা ১ নম্বর দেশে হিসেবে সারা বিশ্বের শান্তি রক্ষা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, সব সময় আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই।

আগামীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ার ঘোষণা দিতে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমরা দেবার ব্যবস্থা নিবো। এইটুকু আমরা বলতে চাই। আমরা শান্তি চাই। শান্তির পথেই আমরা এগিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও গবেষক মোনায়েম সরকার।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ পিস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু জুলিও-কুরি শান্তি পদক গ্রহণের একটি ভিডিও ডক্যুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেন এবং একটি স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে বলেই উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।

রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের আলোচনায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিলো; সেটা আমরা ১৮.৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিলো ২৫.৯ শতাংশ, এটা আমরা ৫.৬ ভাগে আনতে পেরেছি। ইনশাল্লাহ এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না; প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে।

তিনি বলেন, মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮-এর পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো বলেই তা সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবো, সেই পরকিল্পনাও আমরা নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে ছিটমহল বিনিময় করেছি। তাহলে কেন এই অস্ত্র ব্যবসা। সেটা কেন শিশুদের খাবারের জন্য ব্যয় করা হয় না। আমরা রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছি। কারণ আমাদের মনে ছিল ৭১ এর শরণার্থী শিবিরের কথা।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তৎকালীন শান্তি পরিষদের মহাসচিব বলেছিলেন, শেখ মুজিব কেবল বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। মাত্র ৯ মাসে তিনি সংবিধান উপহার দেন। যাতে শান্তির কথা ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা ছিল। তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জুলিও কুরি শান্তি পদক পেয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য আমাদের; যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবনটা দিতে হলো। যে দেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন, সেই দেশের কিছু অমানুষের হাতেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা চাই তার এ দেশটি গড়ে উঠুক উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, কিন্তু নিজেকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা আর চাই না অশান্তি, সংঘাত। আমরা চাই মানুষের জীবনের উন্নতি। সেই কামনাই আমরা সব সময় করি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর অশান্ত পরিবেশ, প্রতি রাতে কার্ফিউ। দীর্ঘ ২১ বছর আমরা ১৯৯৬ সালে এসেছিলাম সরকারে তখন কিছু উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। অন্তত আমরা এইটুকু বলতে পারি। ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়েছিলাম।

জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতিরকথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা পররাষ্ট্রনীতি আমরা আজও মেনে চলি। মেনে চলতে চাই। জাতির পিতা সব সময় মানুষের কল্যাণের নিজের জীবনকে উৎস কর্ম করছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করেছে বলেই আমরা দারিদ্রের হার কমাতে পেরেছি, সাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি, মানুষের আয়ুস্কাল বাড়াতে পেরেছি, মাতৃমৃত্যূহার কমাতে পেরেছি। মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়েই চলবে সেটা আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি মানুষ অন্তত তাদের মৌলিক অধিকার পাবে, অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এটা জাতির পিতার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য আমরা বাস্তবায়ন করে যাবো। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি, প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের অতিক্রম করতে হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জনগণই শক্তি, জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমি সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমার পথচলা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতা শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। কি দুর্ভাগ্য যিনি শান্তির কথা বলে গেছেন তাকেই জীবনটা দিতে হলো, যে দেশের মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন সেই মানুষের কিছু অমানুষের হাতে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বের শান্তি রক্ষায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমরা ১ নম্বর দেশে হিসেবে সারা বিশ্বের শান্তি রক্ষা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, সব সময় আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই।

আগামীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ার ঘোষণা দিতে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমরা দেবার ব্যবস্থা নিবো। এইটুকু আমরা বলতে চাই। আমরা শান্তি চাই। শান্তির পথেই আমরা এগিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও গবেষক মোনায়েম সরকার।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ পিস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু জুলিও-কুরি শান্তি পদক গ্রহণের একটি ভিডিও ডক্যুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেন এবং একটি স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন করেন।