Dhaka শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারো পালিয়ে বাংলাদেশে মিয়ানমারের ২৯ সীমান্তরক্ষী সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আরাকান আর্মি সঙ্গে সংঘাতের জেরে আবারো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য। আশ্রিতদের বিজিবি হেফাজতে নেয়া হচ্ছে।

সোমবার (১১মার্চ) দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ির নুরুল আলম কোম্পানির চা বাগানে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের নিরস্ত্র করে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে।

জানা গেছে, আজ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আশারতলি এলাকার নুরুল আলম কোম্পানির লেবু বাগানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৯ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেয়। পরে তাদের ও তাদের কাছে থাকা অস্ত্র নিজেদের হেফাজতে নেয় ১১-বিজিবির সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এ বিজিপি সদস্যদের প্রাথমিকভাবে ওই লেবু বাগাবেই রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের কোথায় রাখা হবে এ বিষয়ে বিকেলে জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগের বারের মতো তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কাজ করছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি শুরু হলে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক দফায় বিজিপির মোট ৩৩০ সদস্য আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবির অধীনের তাদের মধ্যে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুদেশের আলোচনার প্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

আবারো পালিয়ে বাংলাদেশে মিয়ানমারের ২৯ সীমান্তরক্ষী সদস্য

প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আরাকান আর্মি সঙ্গে সংঘাতের জেরে আবারো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য। আশ্রিতদের বিজিবি হেফাজতে নেয়া হচ্ছে।

সোমবার (১১মার্চ) দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ির নুরুল আলম কোম্পানির চা বাগানে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের নিরস্ত্র করে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে।

জানা গেছে, আজ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আশারতলি এলাকার নুরুল আলম কোম্পানির লেবু বাগানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৯ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেয়। পরে তাদের ও তাদের কাছে থাকা অস্ত্র নিজেদের হেফাজতে নেয় ১১-বিজিবির সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এ বিজিপি সদস্যদের প্রাথমিকভাবে ওই লেবু বাগাবেই রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের কোথায় রাখা হবে এ বিষয়ে বিকেলে জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগের বারের মতো তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কাজ করছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি শুরু হলে উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক দফায় বিজিপির মোট ৩৩০ সদস্য আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবির অধীনের তাদের মধ্যে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুদেশের আলোচনার প্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।