আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দুর্ঘটনা যেন পিছুই ছাড়ছে ভারতের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার। চালকের বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেলেন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের দুই শতাধিক যাত্রী।
শনিবার (৪ অক্টোবর) পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে ব্রিটেনের বার্মিংহামগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটিতে (এএল-১১৭) আচমকা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
তবে, পাইলট অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গেই বিমানের র্যাম এয়ার টারবাইন (আরএটি) সিস্টেম সক্রিয় করে দেন। যার ফলে বিমানটি দিল্লিতে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হয়।
গত জুনে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি মনে করিয়ে দিল অমৃতসর থেকে বার্মিংহামগামী ওই ড্রিমলাইনার। তবে সৌভাগ্যবশত, বিপদ এড়াতে সক্ষম হয়েছে এই বিমানটি। এতে কোনও ক্রু সদস্য কিংবা যাত্রী আহত হননি।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় সবমিলিয়ে ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পরই এয়ার ইন্ডিয়া ও ড্রিমলাইনার বিমান নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি বিমান রক্ষণাবেক্ষণও প্রশ্নের আওতায় চলে আসে। যদিও দাবি করা হয়েছে, বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না।
তবে এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থেকেছে দুর্ঘটনার বহু পরেও। প্রায় দু’মাস আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গত ১ আগস্ট থেকে আংশিকভাবে সেগুলি চালু করা হয়। এরপর ১ অক্টোবর থেকে পুরোদমে আন্তর্জাতিক পরিষেবা চালু করছে এয়ার ইন্ডিয়া। তারপরই ফের বিতর্ক ঘনাল সেই ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারকে নিয়ে।
এদিকে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো দিয়েছে, তাতে দুর্ঘটনার দায় পাইলটের ওপরে চাপানো হয়েছে।
যদিও পাইলটদের সংগঠনের দাবি, ওই রিপোর্টে তারা অসন্তুষ্ট। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বহু তথ্য গোপন করা হয়েছে। জ্বালানি সুইচে সমস্যা ও যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনাগুলি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষভাবে দুর্ঘটনার তদন্তেরও দাবি উঠেছে।