Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারো ডাকাত আতঙ্ক বঙ্গোপসাগরে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গোপসাগরে আবারো দেখা দিয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। বরগুনার জেলে ও ট্রলার মালিকদের দাবি, প্রশাসন থেকে জলদস্যুমুক্ত সাগর ঘোষণা দেয়া হলেও, নজরদারির অভাবে বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত।

গভীর সাগরে ডাকাতের হাত থেকে বেঁচে ফেরা এক মৎস্যজীবী জানান তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, রাতের বেলা হঠাৎ করেই রামদা-লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে ডাকাতদল।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে সাগরে মাছ ধরতে যান ১৮ জেলে। মধ্যরাতে ডাকাতের হামলার শিকার হন তারা। জীবন বাঁচাতে অনেকেই লাফ দেন, মাঝ দরিয়ায়। দু’দিন পর ১৩ জন উদ্ধার হলেও মারা যান একজন। কয়েকদিন পর ভাসমান আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এখনও হদিস মেলেনি ৩ জনের।

এদিকে, ডাকাতের হামলায় নিখোঁজ জেলেদের অপেক্ষায়, অসহনীয় দিন যাপন করছেন স্বজনরা।

জেলেরা জানান, সাগরে যদি এমন ডাকাতের উৎপাত বাড়তেই থাকে তবে আমাদের তো না খেয়ে মরতে হবে।

স্থানীয় মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের অভিযোগ, বঙ্গোপসাগর দস্যুমুক্ত ঘোষণার পর, প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতিতে ফের বাড়ছে অপরাধ।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ডাকাত আতঙ্কে জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছেই না এখন।

র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার তুহিন রেজা বলেন, এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জেলেদের নিরাপত্তায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

২০১৮ সালে বঙ্গোপসাগরকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, ২০২১ সালে জলদস্যুর গুলিতে বরগুনার পাথরঘাটার এক জেলে নিহত হন। এছাড়া প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছেন জেলেরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

আবারো ডাকাত আতঙ্ক বঙ্গোপসাগরে

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গোপসাগরে আবারো দেখা দিয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। বরগুনার জেলে ও ট্রলার মালিকদের দাবি, প্রশাসন থেকে জলদস্যুমুক্ত সাগর ঘোষণা দেয়া হলেও, নজরদারির অভাবে বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত।

গভীর সাগরে ডাকাতের হাত থেকে বেঁচে ফেরা এক মৎস্যজীবী জানান তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, রাতের বেলা হঠাৎ করেই রামদা-লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে ডাকাতদল।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে সাগরে মাছ ধরতে যান ১৮ জেলে। মধ্যরাতে ডাকাতের হামলার শিকার হন তারা। জীবন বাঁচাতে অনেকেই লাফ দেন, মাঝ দরিয়ায়। দু’দিন পর ১৩ জন উদ্ধার হলেও মারা যান একজন। কয়েকদিন পর ভাসমান আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এখনও হদিস মেলেনি ৩ জনের।

এদিকে, ডাকাতের হামলায় নিখোঁজ জেলেদের অপেক্ষায়, অসহনীয় দিন যাপন করছেন স্বজনরা।

জেলেরা জানান, সাগরে যদি এমন ডাকাতের উৎপাত বাড়তেই থাকে তবে আমাদের তো না খেয়ে মরতে হবে।

স্থানীয় মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের অভিযোগ, বঙ্গোপসাগর দস্যুমুক্ত ঘোষণার পর, প্রশাসনের নজরদারির গাফিলতিতে ফের বাড়ছে অপরাধ।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ডাকাত আতঙ্কে জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছেই না এখন।

র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার তুহিন রেজা বলেন, এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জেলেদের নিরাপত্তায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

২০১৮ সালে বঙ্গোপসাগরকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, ২০২১ সালে জলদস্যুর গুলিতে বরগুনার পাথরঘাটার এক জেলে নিহত হন। এছাড়া প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছেন জেলেরা।