স্পোর্টস ডেস্ক :
লা লিগাসহ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে হোঁচট খেল বার্সেলোনা। এর আগে লিগ ম্যাচেই জিরোনা ও কোপা দেল রে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে জালের দেখা পায়নি জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। আর এবার পুচকে গেতাফের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সার।
রোববার (১৬ এপ্রিল) গেতাফের মাঠে বল নিয়ন্ত্রণে বার্সা এগিয়ে থাকলেও। প্রথম ভালো সুযোগ পায় গেতাফে। তবে সে লক্ষ্য ঠিক না রাখতে পারায় ব্যর্থ হন স্বাগতিকরা। অন্যদিকে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ায় বার্সায়। কিন্তু গেতাফের গোলমুখে তেমন ভীতি ছড়াতে পারেনি লেভানদোভস্কিরা।
তবে ম্যাচের ২৫ মিনিটে এগিয়ে যাবার সু্যােগ আসে বার্সার। মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের ফ্রি কিকে লেভানদোভস্কির ফ্লিকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান রাফিনিয়া। তবে রাফিনিয়ার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে দ্বিতীয় শট নেন আলেহান্দ্রে বাল্দে। সেটিও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথামার্ধে আর কেউ গোলের দেখা না পেলে গোল শূন্য নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে চলে বার্সার আক্রমন। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গেতাফের গোলরক্ষকের তেমন পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা। এভাবেই চলে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান ম্যাচ শেষে বলেন, এখানে আমরা খেলতে পারিনি, কারণ ঘাস বেশ উঁচু ছিল। সে কারণেই এখানে খেলা কঠিন ছিল। গোলের ভাল সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। মাঠ এতটাই শুকনা ছিল যে স্বাভাবিক খেলাটাকে আমরা কঠিন করে তুলেছিলাম।
টের স্টেগানের মতই জাভিও একই সুরে বলেন, এটা কোন অযুহাত নয়, তারপরও আমরা বলবো সঠিক ফিনিশিংয়ের অভাবে আমরা গোল পাইনি। তবে একথা ঠিক যে এই ধরনের মাঠে খেলার সবসময়ই কঠিন।’
২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মত লিগ শিরোপা জয়ে জাভির দল সুস্পষ্ট ফেবারিট হয়ে উঠেছে। তবে পরের সপ্তাহে ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে পয়েন্ট হারালে কিছুটা হলেও শিরোপা নিশ্চিতে শঙ্কা দেখা দিবে।
টানা দুটি ড্র’য়ের কারণে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার ব্যবধান ৪ পয়েন্ট কমে নেমে এল ১১ পয়েন্টে। মৌসুমে এখনও ৯টি করে ম্যাচ বাকি দুই দলর। ২৯ ম্যাচ শেষে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল বার্সা। সমান ম্যাচে রিয়ালের ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।