Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারো উইন্ডিজের কাছে হারা ইংল্যান্ডের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মারকুটে ব্যাটিংয়ে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে কোন দল, এমন প্রশ্ন করা হলে অগ্রাধিকারের তালিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম আসবে নিঃসন্দেহে। তার প্রমাণ আরও একবার ব্যাট হাতে দেখালেন ব্রান্ডন কিং ও রভম্যান পাওয়েল। নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের ফিরিয়ে যে পারফরম্যান্স তারা করছে, তাতে পুরনো রূপে দেখা যাচ্ছে উইন্ডিজকে। ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ক্যারিবীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে গ্রানাদায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করেছেন ব্রেন্ডন কিং। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা।

১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ৫ রান করে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন জস বাটলার। অধিনায়ক দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার ফিল সল্ট প্রতিরোধ গড়েন। উইল জ্যাককে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তোলার চেষটা করেন। তবে ২৫ রানে থামতে হয়েছে তাকে। জ্যাক করেছেন ২৪ রান।

আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন স্যাম কারান ও লিয়াম লিভিংস্টোন। এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি গুদাকেশ মোতি। ১৭ রান করেই ফিরতে হয় লিভিংস্টোনকে। হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। ক্রিস ওকসও ফিরে যান মাত্র ২ রান করে। এরপর মঈন আলী ১৩ বলে ২২ ও রিহান আহমেদ ৩ বলে ১০ রান করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

ক্যারিবীয়রা কোনোভাবে বেঁচে গেছে, গুদাকেশ মোতিরা ইকোনমিক্যাল ছিলেন বলে। মতি কিপ্টে বোলিং করেছেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান। আলজারি জোসেফ ৩৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

ম্যাচটিতে নিজেদের ইনিংসের প্রায় অর্ধেকসংখ্যক বল ডট দিয়েছে ক্যারিবীয়রা, কিন্তু ১৩টি ছক্কায় ঠিকই তুলেছে লড়াই করার মতো স্কোর।

ব্যাটিং করেতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ক্যারিবিয় ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং। যদিও উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৩ ওভারে ৪৩ রান তোলেন তারা। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ব্র্যান্ডন কিংয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে। ১৬ বলে ১৭ রান করে মেয়ার্স ফিরে গেলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর ১১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন কিং এবং পাওয়েল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৮০ রান। যেটা পঞ্চম উইকেটে উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এরপর ২৮ বলে ফিফটি করেই আউট হন স্বাগতিক অধিনায়ক। আন্দ্রে রাসেল সেভাবে ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেননি। করেছেন ১০ বলে ১৪ রান। অন্যদিকে ৮২ রানের ইনিংসে ৫টি ছক্কা ও ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান কিং।

ইংলিশ দুই বোলার আদিল রশিদ ও রেহান আহমেদ—‘গুরু’ও ‘শিষ্যের’ যুগল আক্রমণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাপে পড়ে বেশ। তবে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ এত লম্বা, তাদের এত পাওয়ার হিটার ইংল্যান্ডও হয়তো জানত, সামনে আবার আসতে পারে ঝড়। শেষ পর্যন্ত হয়েছে সেটিই। ১৩ থেকে ১৭ ওভারের মধ্যে উঠেছে ৮০ রান। এর মধ্যে রশিদের ৩ রানের ওভার যেমন আছে, তেমনি আছে স্যাম কারেনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে ৩০ রানের ওভারও।

কোচ ম্যাথু মট যেমন ম্যাচশেষে বলেছেন, মাত্র দুটি শট দূরে ছিলেন তারা। তবে সেই ‘শট’-এর ক্ষেত্রে ক্যারিবীয়রা ছিল বেশ এগিয়ে, তাদের ১৩টি ছক্কার বিপরীতে ইংল্যান্ড মেরেছে ৫টি কম। সেন্ট জর্জেসে ইংল্যান্ডকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে পাওয়েলের দল—এ সাম্রাজ্য একসময় তাদেরই ছিল, যেটি ফিরে পেতে চায় তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আবারো উইন্ডিজের কাছে হারা ইংল্যান্ডের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মারকুটে ব্যাটিংয়ে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে কোন দল, এমন প্রশ্ন করা হলে অগ্রাধিকারের তালিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম আসবে নিঃসন্দেহে। তার প্রমাণ আরও একবার ব্যাট হাতে দেখালেন ব্রান্ডন কিং ও রভম্যান পাওয়েল। নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের ফিরিয়ে যে পারফরম্যান্স তারা করছে, তাতে পুরনো রূপে দেখা যাচ্ছে উইন্ডিজকে। ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ক্যারিবীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে গ্রানাদায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮২ রান করেছেন ব্রেন্ডন কিং। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশরা।

১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ৫ রান করে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন জস বাটলার। অধিনায়ক দ্রুত ফিরলেও আরেক ওপেনার ফিল সল্ট প্রতিরোধ গড়েন। উইল জ্যাককে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তোলার চেষটা করেন। তবে ২৫ রানে থামতে হয়েছে তাকে। জ্যাক করেছেন ২৪ রান।

আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন স্যাম কারান ও লিয়াম লিভিংস্টোন। এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি গুদাকেশ মোতি। ১৭ রান করেই ফিরতে হয় লিভিংস্টোনকে। হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। ক্রিস ওকসও ফিরে যান মাত্র ২ রান করে। এরপর মঈন আলী ১৩ বলে ২২ ও রিহান আহমেদ ৩ বলে ১০ রান করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

ক্যারিবীয়রা কোনোভাবে বেঁচে গেছে, গুদাকেশ মোতিরা ইকোনমিক্যাল ছিলেন বলে। মতি কিপ্টে বোলিং করেছেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান। আলজারি জোসেফ ৩৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

ম্যাচটিতে নিজেদের ইনিংসের প্রায় অর্ধেকসংখ্যক বল ডট দিয়েছে ক্যারিবীয়রা, কিন্তু ১৩টি ছক্কায় ঠিকই তুলেছে লড়াই করার মতো স্কোর।

ব্যাটিং করেতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ক্যারিবিয় ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং। যদিও উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৩ ওভারে ৪৩ রান তোলেন তারা। কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ব্র্যান্ডন কিংয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে। ১৬ বলে ১৭ রান করে মেয়ার্স ফিরে গেলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর ১১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন কিং এবং পাওয়েল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৮০ রান। যেটা পঞ্চম উইকেটে উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এরপর ২৮ বলে ফিফটি করেই আউট হন স্বাগতিক অধিনায়ক। আন্দ্রে রাসেল সেভাবে ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেননি। করেছেন ১০ বলে ১৪ রান। অন্যদিকে ৮২ রানের ইনিংসে ৫টি ছক্কা ও ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান কিং।

ইংলিশ দুই বোলার আদিল রশিদ ও রেহান আহমেদ—‘গুরু’ও ‘শিষ্যের’ যুগল আক্রমণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাপে পড়ে বেশ। তবে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ এত লম্বা, তাদের এত পাওয়ার হিটার ইংল্যান্ডও হয়তো জানত, সামনে আবার আসতে পারে ঝড়। শেষ পর্যন্ত হয়েছে সেটিই। ১৩ থেকে ১৭ ওভারের মধ্যে উঠেছে ৮০ রান। এর মধ্যে রশিদের ৩ রানের ওভার যেমন আছে, তেমনি আছে স্যাম কারেনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে ৩০ রানের ওভারও।

কোচ ম্যাথু মট যেমন ম্যাচশেষে বলেছেন, মাত্র দুটি শট দূরে ছিলেন তারা। তবে সেই ‘শট’-এর ক্ষেত্রে ক্যারিবীয়রা ছিল বেশ এগিয়ে, তাদের ১৩টি ছক্কার বিপরীতে ইংল্যান্ড মেরেছে ৫টি কম। সেন্ট জর্জেসে ইংল্যান্ডকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে পাওয়েলের দল—এ সাম্রাজ্য একসময় তাদেরই ছিল, যেটি ফিরে পেতে চায় তারা।