Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব দিক পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

রোববার (১১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এই কমিটি নীচের বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে।

ক. গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন।

খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।

গ. এ ক্ষেত্রে কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।

গত ৭ মে রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়েন টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ। এরপরই তার দেশত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন; এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না; কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্তকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, সাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সব সংস্থা কমিটির দেওয়া নির্দেশনাবলি পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে।

কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব দিক পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

রোববার (১১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এই কমিটি নীচের বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে।

ক. গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন।

খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।

গ. এ ক্ষেত্রে কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।

গত ৭ মে রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়েন টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ। এরপরই তার দেশত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন; এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না; কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্তকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, সাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সব সংস্থা কমিটির দেওয়া নির্দেশনাবলি পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে।

কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।