আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ অবসানে মধ্যস্থতা করার আশায় আফ্রিকান নেতারা যখ শান্তি মিশন শুরু করেছেন, তখন পরপর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে কিয়েভ। ওই সময় সেখানে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) দেশটির রাজধানী কিয়েভে এ বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় ইউক্রেনের রাজধানীজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজেতেও শোনা যায়।
জানা গেছে, আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ও সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সালসহ কমোরোস ও মিশরের কয়েকজন নেতা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ও শনিবার (১৭ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানান, তিনি দু’টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানান, বিস্ফোরণগুলো কেন্দ্রীয় পোদিল এলাকায় ঘটেছে। রাজধানীর দিকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র এগিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
কিয়েভে থাকা রয়টার্সের আরেকজন প্রতিনিধি আকাশে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের ধোঁয়ারেখা দেখতে পান বলে দাবি করেন। তবে এগুলো রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র নাকি ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার, তা স্পষ্ট নয়।
রয়টার্সের একজন টেলিভিশন ক্রু দেখেছেন, কিয়েভে আসা আফ্রিকান নেতারা এয়াররেইড শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য একটি হোটেলে প্রবেশ করছেন। কিয়েভের কাছাকাছি অবস্থিত বুচা শহর পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে এসব নেতা ইউক্রেন সফর শুরু করেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করার পর রুশ বাহিনী বুচা শহরেই বড় ধরনের হামলা ও বর্বরতা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। তবে রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কর্মপরিকল্পনার একটি খসড়া নথির বরাতে রয়টার্স জানায়, আফ্রিকার শান্তি মিশন মধ্যস্থতার প্রাথমিক চেষ্টায় ‘আস্থা তৈরির পদক্ষেপ’ হিসেবে অনেকগুলো প্রস্তাব রাখতে পারে। রয়টার্সের সংবাদকর্মীদের দাবি, তারা নথিটি দেখেছেন।
নথিটিতে বলা হয়েছে, মিশনের উদ্দেশ্য হলো, শান্তির গুরুত্ব তুলে ধরা ও উভয়পক্ষকে কূটনৈতিক আলোচনায় রাজি হতে উৎসাহিত করা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরু করার কয়েকদিন পরই আফ্রিকার এ শান্তি মিশন শুরু হলো।
আস্থা তৈরির পদক্ষেপ হিসেবে যেসব প্রস্তাব থাকতে পারে সেগুলো হলো, ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা ফিরিয়ে নেওয়া, বেলারুশ থেকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া, পুতিনকে লক্ষ্য করে জারি করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন স্থগিত ও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। সূত্র: রয়টার্স।