Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ড্র

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার আন্তর্জাতিক অভিষেক জয়ে রাঙাতে পারল না বাংলাদেশ। শেখ মোরছালিনকে আজ ‘খলনায়ক’ বলা যেতেই পারে। অমন সুযোগ নষ্ট করলেন তিনি!

ম্যাচের ৫৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। সামনে শুধু আফগানিস্তানের গোলরক্ষক ফয়সাল হামিদি। দেখে-শুনে বল জালে পাঠালেই হয়, কিন্তু মোরছালিন বল মারলেন বারের ওপর দিয়ে! গোল মিসের হা-হুতাশ আরও আছে। রাকিব হোসেনকেও মোরছালিনের মতো ‘খলনায়ক’ বলাই যায়। ৬২ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস আফগানিস্তানের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হেড করে ফেরাতে ব্যর্থ হলে রাকিব বল পেয়ে গিয়েছিলেন একেবারে ফাঁকায়। তিনিও গোল করতে ব্যর্থ।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি আসলে বাংলাদেশের গোল মিসের মহড়ারই গল্প। আফগানদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারায় জিততে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরার দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। গোল করতে না পারার চিরকালীন দুর্বলতা আজ কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ জাতীয় দল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

খেলার শুরু থেকেই আফগানদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের মধ্যে বল আদান-প্রদান করে আফগান রক্ষণে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও পরিষ্কার সুযোগ আসেনি। তবে ৭ মিনিটের মধ্যে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে রাকিব বল নিয়ে ঢুকে আফগানিস্তানের বক্স ক্রস ফেললেও বলে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। ২১ মিনিটে এই রাকিবই আরও একটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেন। ২৬ মিনিটে অবশ্য আফগানিস্তান গোল পেলেও পেতে পারত। মোহাম্মদ নোমা ওয়ালিজাদের শট বাংলাদেশের বক্সের মধ্যে তারিক কাজীর পায়ে লেগে গোলে প্রায় ঢুকেই যাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশের।

২৮ মিনিটে মোরছালিন ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। নিচ থেকে সোহেল রানার বাড়ানো থ্রু আফগানিস্তানের বক্সের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন মোরছালিন। আফগান গোলরক্ষকও বেরিয়ে এসেছিলেন অনেকটাই। কিন্তু বল পায়ে নিজেকে গুছিয়ে উঠতে পারেননি মোরছালিন। আফগানিস্তানের গোলেই শট নিতে পারেননি।

৪৩ মিনিটে অমিদ প্রোপাজাইয়ের অনেক দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। বিরতির পর আফগানরা একটু ওপরে উঠে খেলার চেষ্টা করে। তবে দুটি ভালো সুযোগ পায় বাংলাদেশ।

৫৪ মিনিটে বাংলাদেশ দারুণ এক গোল থেকে বঞ্চিত হয়। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পাস বাড়ালেও অন্য প্রান্তে ফাঁকায় মোরসালিন ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সমর্থকদের হতাশ করেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ বছর আগে শেষ জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঢাকায় বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-২ গোলে। এরপর ৬টি ড্র, হার দুটি। আফগানদের আজ বেশ ভালোভাবেই বাগে পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় জয় অধরাই থাকল।

গোল করতে না পারলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ যে জেতা যায় না!

বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে জামাল-মোরসালিনরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ড্র

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার আন্তর্জাতিক অভিষেক জয়ে রাঙাতে পারল না বাংলাদেশ। শেখ মোরছালিনকে আজ ‘খলনায়ক’ বলা যেতেই পারে। অমন সুযোগ নষ্ট করলেন তিনি!

ম্যাচের ৫৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। সামনে শুধু আফগানিস্তানের গোলরক্ষক ফয়সাল হামিদি। দেখে-শুনে বল জালে পাঠালেই হয়, কিন্তু মোরছালিন বল মারলেন বারের ওপর দিয়ে! গোল মিসের হা-হুতাশ আরও আছে। রাকিব হোসেনকেও মোরছালিনের মতো ‘খলনায়ক’ বলাই যায়। ৬২ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস আফগানিস্তানের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হেড করে ফেরাতে ব্যর্থ হলে রাকিব বল পেয়ে গিয়েছিলেন একেবারে ফাঁকায়। তিনিও গোল করতে ব্যর্থ।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি আসলে বাংলাদেশের গোল মিসের মহড়ারই গল্প। আফগানদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারায় জিততে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরার দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে। গোল করতে না পারার চিরকালীন দুর্বলতা আজ কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ জাতীয় দল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

খেলার শুরু থেকেই আফগানদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের মধ্যে বল আদান-প্রদান করে আফগান রক্ষণে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও পরিষ্কার সুযোগ আসেনি। তবে ৭ মিনিটের মধ্যে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে রাকিব বল নিয়ে ঢুকে আফগানিস্তানের বক্স ক্রস ফেললেও বলে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। ২১ মিনিটে এই রাকিবই আরও একটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেন। ২৬ মিনিটে অবশ্য আফগানিস্তান গোল পেলেও পেতে পারত। মোহাম্মদ নোমা ওয়ালিজাদের শট বাংলাদেশের বক্সের মধ্যে তারিক কাজীর পায়ে লেগে গোলে প্রায় ঢুকেই যাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশের।

২৮ মিনিটে মোরছালিন ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। নিচ থেকে সোহেল রানার বাড়ানো থ্রু আফগানিস্তানের বক্সের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন মোরছালিন। আফগান গোলরক্ষকও বেরিয়ে এসেছিলেন অনেকটাই। কিন্তু বল পায়ে নিজেকে গুছিয়ে উঠতে পারেননি মোরছালিন। আফগানিস্তানের গোলেই শট নিতে পারেননি।

৪৩ মিনিটে অমিদ প্রোপাজাইয়ের অনেক দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। বিরতির পর আফগানরা একটু ওপরে উঠে খেলার চেষ্টা করে। তবে দুটি ভালো সুযোগ পায় বাংলাদেশ।

৫৪ মিনিটে বাংলাদেশ দারুণ এক গোল থেকে বঞ্চিত হয়। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পাস বাড়ালেও অন্য প্রান্তে ফাঁকায় মোরসালিন ক্রসবারের ওপর দিয়ে মেরে সমর্থকদের হতাশ করেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৪ বছর আগে শেষ জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঢাকায় বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-২ গোলে। এরপর ৬টি ড্র, হার দুটি। আফগানদের আজ বেশ ভালোভাবেই বাগে পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় জয় অধরাই থাকল।

গোল করতে না পারলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ যে জেতা যায় না!

বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে জামাল-মোরসালিনরা।