Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। মিরপুরে (শুক্রবার) সফরকারীদের বিপক্ষে ৩৭০ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের শুরু করে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এদিকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও তা না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলে ইতিমধ্যে বড় সংগ্রহের পথে লিটন দাসরা। দিনের শুরুতে নাজমুল শান্ত ও জাকির হাসানের জুটি দুইশত রান পেরিয়ে যাওয়ার আগে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ওপেনার জাকির। তবে একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক তুলে নেন শান্ত। এই বাঁহাতি ব্যাটারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির শতকের দেখা মুমিনুল হকও। দুই টপ অর্ডারের শতকে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। ফলে আফগানিস্তানের সামনে ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন দুজন-নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। শান্ত ১২৪ করে ফিরলেও মুমিনুল শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১২ চার আর ১ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি। ৮১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।

গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল হক। তবে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন, ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এর মধ্যে ১৩টি টেস্ট খেলেছেন মুমিনুল। নেতৃত্বে থাকা অবস্থায় শেষ দিকে তো নিজের ফর্মই হারিয়ে ফেলেছিলেন।

অবশেষে আফগানিস্তানকে পেয়ে ১৩ টেস্ট পর ১৪তম টেস্টে এসে তিন অংকের দেখা পেলেন টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার। নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুমিনুল হকও।

১২৩ বল খেলে সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। সেঞ্চুরির পথে ১২টি বাউন্ডারির মার মারেন মুমিনুল। তার সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছে যান অধিনায়ক লিটন কুমার দাসও। ৫৩ বলে ৮টি বাউন্ডারি মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।

এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে করা ১৪৬ রান ছোঁয়ার আগেই ফিরে যান সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৪ রানের ইনিংস। জহির খানের বলে আবদুল মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান চলতি টেস্টের সবচেয়ে সফলতম ব্যাটার।

২৭৪ রানে নাজমুল আউট হওয়ার পর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও মাঠে নেমে থিতু হতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে সেই জহির খানের বলে ইবরাহিম জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৮২ রানের মাথায় পড়ে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট।

এর আগে কি অসাধারণ এক জুটি গড়ে তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হাসান। অথচ, সেই জুটিরই কিনা যবনিকাপাত ঘটলো একটি ঝুঁকি নিতে গিয়ে রানআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৭৩ রানের বিশাল এক জুটি গড়ার পর রানআউটে কাটা পড়ে বিদায় নেন জাকির ।। ৭১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন তিনি।

হাশমত উল্লাহ শহিদির করা ৩৫তম ওভারের ৩য় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করেন। নাসির জামাল বলটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাউন্ডারি বাঁচান। বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠান ইবরাহিম জাদরান। এরই মধ্যে তৃতীয় রান নিতে যান শান্ত। কিন্তু জাকির ক্রিজে পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন আফসার জাজাই। ৯৫ বল খেলে ৭১ রান করে আউট হন জাকির।

প্রসঙ্গত, প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলেও আফগানদের দেড়শও করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৪৬ রানে অলআউট করে দিয়ে প্রথম ইনিংসেই লিড নেয় ২৩৬ রানের।

দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছিল ৩৭০ রান। ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে আগের দিনের দৃঢ়তাই দেখিয়েছেন শান্ত এবং জাকির।

এর আগে টেস্টের প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য ১৪৬ রান এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ৭৬ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩৮২ রান। আফগানিস্তানের নিজাত মাসুদ নেন ৫ উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। মিরপুরে (শুক্রবার) সফরকারীদের বিপক্ষে ৩৭০ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের শুরু করে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এদিকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও তা না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলে ইতিমধ্যে বড় সংগ্রহের পথে লিটন দাসরা। দিনের শুরুতে নাজমুল শান্ত ও জাকির হাসানের জুটি দুইশত রান পেরিয়ে যাওয়ার আগে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ওপেনার জাকির। তবে একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক তুলে নেন শান্ত। এই বাঁহাতি ব্যাটারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির শতকের দেখা মুমিনুল হকও। দুই টপ অর্ডারের শতকে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। ফলে আফগানিস্তানের সামনে ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন দুজন-নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। শান্ত ১২৪ করে ফিরলেও মুমিনুল শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১২ চার আর ১ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি। ৮১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।

গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল হক। তবে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন, ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এর মধ্যে ১৩টি টেস্ট খেলেছেন মুমিনুল। নেতৃত্বে থাকা অবস্থায় শেষ দিকে তো নিজের ফর্মই হারিয়ে ফেলেছিলেন।

অবশেষে আফগানিস্তানকে পেয়ে ১৩ টেস্ট পর ১৪তম টেস্টে এসে তিন অংকের দেখা পেলেন টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার। নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুমিনুল হকও।

১২৩ বল খেলে সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। সেঞ্চুরির পথে ১২টি বাউন্ডারির মার মারেন মুমিনুল। তার সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছে যান অধিনায়ক লিটন কুমার দাসও। ৫৩ বলে ৮টি বাউন্ডারি মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।

এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে করা ১৪৬ রান ছোঁয়ার আগেই ফিরে যান সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৪ রানের ইনিংস। জহির খানের বলে আবদুল মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান চলতি টেস্টের সবচেয়ে সফলতম ব্যাটার।

২৭৪ রানে নাজমুল আউট হওয়ার পর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও মাঠে নেমে থিতু হতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে সেই জহির খানের বলে ইবরাহিম জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৮২ রানের মাথায় পড়ে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট।

এর আগে কি অসাধারণ এক জুটি গড়ে তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হাসান। অথচ, সেই জুটিরই কিনা যবনিকাপাত ঘটলো একটি ঝুঁকি নিতে গিয়ে রানআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৭৩ রানের বিশাল এক জুটি গড়ার পর রানআউটে কাটা পড়ে বিদায় নেন জাকির ।। ৭১ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন তিনি।

হাশমত উল্লাহ শহিদির করা ৩৫তম ওভারের ৩য় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করেন। নাসির জামাল বলটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাউন্ডারি বাঁচান। বল কুড়িয়ে ফেরত পাঠান ইবরাহিম জাদরান। এরই মধ্যে তৃতীয় রান নিতে যান শান্ত। কিন্তু জাকির ক্রিজে পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন আফসার জাজাই। ৯৫ বল খেলে ৭১ রান করে আউট হন জাকির।

প্রসঙ্গত, প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলেও আফগানদের দেড়শও করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ১৪৬ রানে অলআউট করে দিয়ে প্রথম ইনিংসেই লিড নেয় ২৩৬ রানের।

দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেই বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছিল ৩৭০ রান। ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে আগের দিনের দৃঢ়তাই দেখিয়েছেন শান্ত এবং জাকির।

এর আগে টেস্টের প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য ১৪৬ রান এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ৭৬ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩৮২ রান। আফগানিস্তানের নিজাত মাসুদ নেন ৫ উইকেট।