Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের সময় ঝুঁকি নিয়ে সেবা দেওয়া চিকিৎসকরা জুলাইয়ের নায়ক : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যুদ্ধের সময়ও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ হয় না- এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অথচ জুলাই বিপ্লবের দিনগুলোতে বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। আন্দোলনের সময় চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হুমকি চলেছে। তারপরও যারা আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তারাই জুলাইয়ের সত্যিকারের নায়ক।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আহত আন্দোলনকারীদের সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের মানবিক অবদানের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনের সময় আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই বাধা ভেঙে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু চিকিৎসক। আপনারা এই জুলাইয়ের অন্যতম নায়ক। আপনারা এই জুলাইয়ের সাহস এবং দায়িত্ববোধের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এই দুঃসময়ে আপনারা যে সেবা দিয়েছেন তা আমরা কোনোদিন ভুলব না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার এ দেশের ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে যেন কোনো হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা না হয়। কিন্তু জুলাইয়ে আমাদের কিছু চিকিৎসক যোদ্ধাদের গল্প যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের সেবার গল্পকেও হার মানায়।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রদের রাস্তায় পিটিয়ে আহত করার পর মেডিকেলেও তাদের উপর হামলা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের উপর নানা ধরনের হুমকি-ধামকি এসেছে, এমনকি তাদের চিকিৎসা কার্যক্রমেও বাধা দেওয়া হয়েছে। শত শত ছেলে-মেয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছে, যারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পায়নি। নির্দেশ ছিল, আন্দোলনে আহতদের কাউকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।

এই প্রেক্ষাপটেও যেসব চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, আপনারা নিজেরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন, তেমনি আপনাদের পরিবারগুলোও এক ধরনের আতঙ্ক ও ঝুঁকির মধ্যে ছিল। তবুও পাহাড়সম বাধা অতিক্রম করে মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, আহতদের জন্য রক্ত সংকট থাকলেও চিকিৎসকরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রক্ত সংগ্রহ করেছেন, ওষুধ সরবরাহ করেছেন, এমনকি রোগীর পরিচয় গোপন রাখতে ব্যবস্থাপত্রে অন্য নাম ও রোগ লিখে পুলিশের কাছ থেকে আড়াল করেছেন। অনেক প্রাইভেট চিকিৎসক নিজ উদ্যোগে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। আপনারা শুধু সেবা দেননি, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান আরেকবার স্মরণ করে দিয়েছে তাদের পেশার মাহাত্ম। যখন চারপাশে আতঙ্ক, কান্না আর অজানা আশঙ্কা তখন আপনারাই আমাদের আশার আলো। এই কঠিন সময়ে যারা ক্লান্তি ভুলে আহতদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ড. ইউনূস বলেন, যুদ্ধের সময়ও আক্রান্ত ও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করা যায় না। এটা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। এর ব্যতিক্রম আমরা দেখেছি এই বাংলাদেশে চব্বিশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলোতে। ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, জনতার বুকে গুলি চালিয়ে থেমে থাকেনি। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তারা যেন কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা না পায়। জুলাইয়ে আমাদের চিকিৎসক যোদ্ধাদের গল্প কোনো যুদ্ধ ক্ষেত্রের গল্পকেও হার মানায়।

তিনি বলেন, রাস্তায় ছাত্রদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে মেডিকেলে ঢুকেও তাদের ওপর হামলা হয়েছিল। ডাক্তার-নার্সদের হুমকি-ধামকি নানা রকমের বাধা দেওয়া হয়েছিল। শত শত ছেলে-মেয়ে অন্ধত্ববরণ করেছে। কারণ তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পায়নি। নির্দেশ ছিল, আন্দোলনে আহত কাউকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। আপনারা পেছনের গেট দিয়ে আহতদের গোপনে চিকিৎসা দিয়েছেন। হাসপাতালে হাসপাতালে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ, রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ডাক্তার-নার্সরা সেসময় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসায় নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন। বিনামূল্যে দিনরাত গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারীদের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন। দুই চিকিৎসক বোনকে আমরা দেখেছি, নিজ উদ্যোগে গ্যারেজের মধ্যে অস্থায়ী ক্লিনিক করে চিকিৎসা দিয়েছেন। অনেকে নিজেদের ঘরে অস্থায়ী ক্লিনিক করে চিকিৎসা দিয়েছেন। আপনারা নিজেরা ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। পরিবার ঝুঁকির মধ্যে ছিল। তবুও পাহাড়সম বাধা পার করে মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন।

‘রক্ত দেওয়ার সরঞ্জাম সরবরাহ ছিল না। অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলারের মতো ওষুধও ছিল না। আপনারা এগুলো নিজেরাই সরবরাহ করেছিলেন। আপনারা শুধু চিকিৎসক নন, আপনারা এই জুলাইয়ের অন্যতম নায়ক। আপনারা সাহস এবং মানবতা ও দায়িত্ববোধের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এই দুঃসময়ে আপনারা যে সেবা দিয়েছেন, তা আমরা কোনোদিন ভুলবো না। আমি আশা করবো, আজকের এই আয়োজন থেকে নির্ভীক সাহসী ডাক্তারদের গল্পগুলো উঠে আসবে। জাতিকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’ যোগ করে প্রধান উপদেষ্টা।

এসময় জাতির পক্ষ থেকে জুলাইয়ে কর্তব্যরত সব স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আন্দোলনের সময় ঝুঁকি নিয়ে সেবা দেওয়া চিকিৎসকরা জুলাইয়ের নায়ক : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যুদ্ধের সময়ও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ হয় না- এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অথচ জুলাই বিপ্লবের দিনগুলোতে বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। আন্দোলনের সময় চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও হুমকি চলেছে। তারপরও যারা আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তারাই জুলাইয়ের সত্যিকারের নায়ক।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আহত আন্দোলনকারীদের সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই বিপ্লবে চিকিৎসকদের মানবিক অবদানের প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনের সময় আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই বাধা ভেঙে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু চিকিৎসক। আপনারা এই জুলাইয়ের অন্যতম নায়ক। আপনারা এই জুলাইয়ের সাহস এবং দায়িত্ববোধের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এই দুঃসময়ে আপনারা যে সেবা দিয়েছেন তা আমরা কোনোদিন ভুলব না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার এ দেশের ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে যেন কোনো হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা না হয়। কিন্তু জুলাইয়ে আমাদের কিছু চিকিৎসক যোদ্ধাদের গল্প যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের সেবার গল্পকেও হার মানায়।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রদের রাস্তায় পিটিয়ে আহত করার পর মেডিকেলেও তাদের উপর হামলা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের উপর নানা ধরনের হুমকি-ধামকি এসেছে, এমনকি তাদের চিকিৎসা কার্যক্রমেও বাধা দেওয়া হয়েছে। শত শত ছেলে-মেয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছে, যারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পায়নি। নির্দেশ ছিল, আন্দোলনে আহতদের কাউকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।

এই প্রেক্ষাপটেও যেসব চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, আপনারা নিজেরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন, তেমনি আপনাদের পরিবারগুলোও এক ধরনের আতঙ্ক ও ঝুঁকির মধ্যে ছিল। তবুও পাহাড়সম বাধা অতিক্রম করে মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, আহতদের জন্য রক্ত সংকট থাকলেও চিকিৎসকরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রক্ত সংগ্রহ করেছেন, ওষুধ সরবরাহ করেছেন, এমনকি রোগীর পরিচয় গোপন রাখতে ব্যবস্থাপত্রে অন্য নাম ও রোগ লিখে পুলিশের কাছ থেকে আড়াল করেছেন। অনেক প্রাইভেট চিকিৎসক নিজ উদ্যোগে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। আপনারা শুধু সেবা দেননি, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার নতুন এক অধ্যায় রচনা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান আরেকবার স্মরণ করে দিয়েছে তাদের পেশার মাহাত্ম। যখন চারপাশে আতঙ্ক, কান্না আর অজানা আশঙ্কা তখন আপনারাই আমাদের আশার আলো। এই কঠিন সময়ে যারা ক্লান্তি ভুলে আহতদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ড. ইউনূস বলেন, যুদ্ধের সময়ও আক্রান্ত ও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ করা যায় না। এটা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। এর ব্যতিক্রম আমরা দেখেছি এই বাংলাদেশে চব্বিশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলোতে। ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, জনতার বুকে গুলি চালিয়ে থেমে থাকেনি। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তারা যেন কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা না পায়। জুলাইয়ে আমাদের চিকিৎসক যোদ্ধাদের গল্প কোনো যুদ্ধ ক্ষেত্রের গল্পকেও হার মানায়।

তিনি বলেন, রাস্তায় ছাত্রদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে মেডিকেলে ঢুকেও তাদের ওপর হামলা হয়েছিল। ডাক্তার-নার্সদের হুমকি-ধামকি নানা রকমের বাধা দেওয়া হয়েছিল। শত শত ছেলে-মেয়ে অন্ধত্ববরণ করেছে। কারণ তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা পায়নি। নির্দেশ ছিল, আন্দোলনে আহত কাউকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না। আপনারা পেছনের গেট দিয়ে আহতদের গোপনে চিকিৎসা দিয়েছেন। হাসপাতালে হাসপাতালে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজ, রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ডাক্তার-নার্সরা সেসময় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসায় নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন। বিনামূল্যে দিনরাত গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারীদের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন। দুই চিকিৎসক বোনকে আমরা দেখেছি, নিজ উদ্যোগে গ্যারেজের মধ্যে অস্থায়ী ক্লিনিক করে চিকিৎসা দিয়েছেন। অনেকে নিজেদের ঘরে অস্থায়ী ক্লিনিক করে চিকিৎসা দিয়েছেন। আপনারা নিজেরা ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন। পরিবার ঝুঁকির মধ্যে ছিল। তবুও পাহাড়সম বাধা পার করে মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন।

‘রক্ত দেওয়ার সরঞ্জাম সরবরাহ ছিল না। অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলারের মতো ওষুধও ছিল না। আপনারা এগুলো নিজেরাই সরবরাহ করেছিলেন। আপনারা শুধু চিকিৎসক নন, আপনারা এই জুলাইয়ের অন্যতম নায়ক। আপনারা সাহস এবং মানবতা ও দায়িত্ববোধের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এই দুঃসময়ে আপনারা যে সেবা দিয়েছেন, তা আমরা কোনোদিন ভুলবো না। আমি আশা করবো, আজকের এই আয়োজন থেকে নির্ভীক সাহসী ডাক্তারদের গল্পগুলো উঠে আসবে। জাতিকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’ যোগ করে প্রধান উপদেষ্টা।

এসময় জাতির পক্ষ থেকে জুলাইয়ে কর্তব্যরত সব স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বক্তব্য দেন।