Dhaka রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের নামে সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার শেখ হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। রাস্তায় আন্দোলনের নামে সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার শেখ হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও বিভেদ নেই, সব দলের নিজস্ব রীতিনীতি থাকে, সবাই সবার মতো মত দেবে, এটাই গণতন্ত্র। যার যার এজেন্ডা নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দেন বিএনপির এই নেতা।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন রাস্তায় আন্দোলন নয়। এখন জনগণের কাছে আমাদেরকে যেতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না। আমরা হিংসাপরায়ণ রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না।

তিনি বলেন, আমরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে রাজনীতি করে যদি যাই, আবার সেই পুরোনো কালচার আমাদের ফিরে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলগুলো এক সঙ্গে বসার কালচার কোনো সময় ছিল না। কেউ কারো চেহারা পেছনে দেখতো না। আজকে কিন্তু আমরা এখানে বসেছি সবাই। আমরা বসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা এখানে বসে আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই চলছি যার যার অবস্থান থেকে।

বিনএপির এই নেতা বলেন, ১৬ বছরের যে সংগ্রাম বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সাংবিধানিক অধিকার ফেলে দেওয়ার সংগ্রাম, সেই সংগ্রামে আমরা জয়ী হয়ে বাকি যে কাজটা আছে সেটা যদি আমরা করতে না পারি। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ মাস আমরা অতিক্রম করছি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসেনি। আমরা যুদ্ধ করেছি একটি নির্বাচিত সংসদ সরকারের জন্য সেটা এখনও আমরা পাইনি। এ জন্য আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় জুলাই সনদে সই করেছি। এখন আমাদের বাকি কাজ যেটা আছে আগামী নির্বাচনকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদেরকে সহনশীল হতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করেও তার মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের এই কালচারগুলো আনতে হবে। আরেকজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবো। তারপরও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তো আমাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ হচ্ছে না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তা ভাবনা ও রূপরেখা আছে, সবকিছু তো এক জায়গায় হবে না। তাহলে তো আলাদা দল হতাম না, তাহলে তো আমরা বাকশাল হয়ে যেতাম সুতরাং যার যার অবস্থানে আমাদের যে ম্যান্ডেট, সেটা নিয়ে জনগণের কাছে যাব। সেই ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে। অনেকগুলো পরিবর্তন রাতারাতিও আসবে না, এগুলো একটা সময়ের মধ্যে আমাদের আলোচনার মধ্যে রাখতে হবে। যে কটা সমাধান হবে না, সেগুলো আমাদের জনসম্মুখে আলাপ আলোচনার মধ্যে রাখতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উত্তরা-আগারগাঁও পথে মেট্রো চলাচল শুরু

আন্দোলনের নামে সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার শেখ হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৩:০০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। রাস্তায় আন্দোলনের নামে সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার শেখ হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও বিভেদ নেই, সব দলের নিজস্ব রীতিনীতি থাকে, সবাই সবার মতো মত দেবে, এটাই গণতন্ত্র। যার যার এজেন্ডা নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দেন বিএনপির এই নেতা।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন রাস্তায় আন্দোলন নয়। এখন জনগণের কাছে আমাদেরকে যেতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না। আমরা হিংসাপরায়ণ রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না।

তিনি বলেন, আমরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে রাজনীতি করে যদি যাই, আবার সেই পুরোনো কালচার আমাদের ফিরে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলগুলো এক সঙ্গে বসার কালচার কোনো সময় ছিল না। কেউ কারো চেহারা পেছনে দেখতো না। আজকে কিন্তু আমরা এখানে বসেছি সবাই। আমরা বসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা এখানে বসে আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই চলছি যার যার অবস্থান থেকে।

বিনএপির এই নেতা বলেন, ১৬ বছরের যে সংগ্রাম বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সাংবিধানিক অধিকার ফেলে দেওয়ার সংগ্রাম, সেই সংগ্রামে আমরা জয়ী হয়ে বাকি যে কাজটা আছে সেটা যদি আমরা করতে না পারি। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ মাস আমরা অতিক্রম করছি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসেনি। আমরা যুদ্ধ করেছি একটি নির্বাচিত সংসদ সরকারের জন্য সেটা এখনও আমরা পাইনি। এ জন্য আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় জুলাই সনদে সই করেছি। এখন আমাদের বাকি কাজ যেটা আছে আগামী নির্বাচনকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদেরকে সহনশীল হতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করেও তার মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের এই কালচারগুলো আনতে হবে। আরেকজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবো। তারপরও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তো আমাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ হচ্ছে না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তা ভাবনা ও রূপরেখা আছে, সবকিছু তো এক জায়গায় হবে না। তাহলে তো আলাদা দল হতাম না, তাহলে তো আমরা বাকশাল হয়ে যেতাম সুতরাং যার যার অবস্থানে আমাদের যে ম্যান্ডেট, সেটা নিয়ে জনগণের কাছে যাব। সেই ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে। অনেকগুলো পরিবর্তন রাতারাতিও আসবে না, এগুলো একটা সময়ের মধ্যে আমাদের আলোচনার মধ্যে রাখতে হবে। যে কটা সমাধান হবে না, সেগুলো আমাদের জনসম্মুখে আলাপ আলোচনার মধ্যে রাখতে হবে।