নিজস্ব প্রতিবেদক :
আন্দোলনের নামে নাশকতা করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত হাতে দমন করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, আন্দোলনকারীরা এখন বিএনপি-জামায়াতের কাতারে চলে গেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) গণভবনে নিরাপত্তা বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের টানেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ডাকলে গোটা দেশের মানুষও আসবে। কিন্তু আমরা সংঘর্ষ চাই না। অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যম শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে চাই। সন্ত্রাসীদের দমনে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আসলে আন্দোলনকারীদের কোটা কোনো দাবি ছিল না, তাদের কি চাহিদা সেটা গতকালকে প্রকাশ পেয়েছে। আন্দোলনকারীরা এখন বিএনপি-জামায়াতের কাতারে চলে গেছে।
সহিংসতা বন্ধ না হলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। প্রধানমন্ত্রী সহিংসতা বন্ধে জনগণকে এগিয়ে আসতে বলেছেন, বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার সন্ত্রাস দমনে আইনের প্রয়োগ করা হবে। এই সংকট রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে আন্দোলনের সাড়া না পেয়ে আজ সহিংসতা-সন্ত্রাস করে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। তাদের পুরোনো দাবির সঙ্গে আন্দোলকারীরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছে। বৃহত্তর স্বার্থে ফেসবুক বন্ধ করা হচ্ছে। কাউকে দমানো বা থামানোর জন্য নয়। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছে সহিংসতাকারীরা।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যম শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে চাই। সন্ত্রাসীদের দমনে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে আজকে নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধ, সরকারি স্থাপনা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় বৈঠকে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছে।
এর আগে নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সচিব, সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স ও এনএসআই প্রধানসহ কমিটির মোট ২৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।