স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ দুই বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক প্রকার ফেরিওয়ালা হয়েই সময় কাটাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিস। ২০২১ সালে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পরই মূলত তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফুলস্টপ বসে যায়। যদিও অন্য দুই ফরম্যাটে অবসর নেননি। তবে গত প্রায় দুই বছর ধরেই জাতীয় দল থেকে আর ডাক পাননি। তবে অতি সাম্প্রতিককালে শোনা যাচ্ছে, আবারো প্রোটিয়াদের হয়ে মাঠ মাতাতে পারেন ডু প্লেসিস। ডাক পেতে পারেন জাতীয় দলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। একই সঙ্গে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকটারকে ফেরাতে পারে প্রোটিয়ারা। যা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচ বব ওয়াল্টারের সঙ্গে তার আলোচনা চলছে বলেও জানা গেছে।
এর আগে ২০২০ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন এই তারকা ব্যাটার। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ডু প্লেসি সর্বশেষ সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলেন, অবসর নেন ফরম্যাটটি থেকে। বর্তমানে আবুধাবি টি-টেন লিগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি
টি-টেন লিগে ম্যাচপূর্ব সাক্ষাৎকারে ডু প্লেসি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরতে পারব। আমরা গত কয়েক বছর ধরে এই বিষয়ে কথা বলছি। এটা শুধু আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারসাম্য করার জন্য। এটা অবশ্যই নতুন কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। দেখুন কী হয়।
এছাড়া প্রোটিয়া এই তারকা ব্যাটার আরও বলেন, আমি আমার শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করি; যাতে আমরা দুর্দান্ত খেলাটি খেলতে পারি। আপনি যখন একটু বয়স্ক হয়ে যাবেন, তখন আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি কাজটি করছেন। অন্যথায়, হ্যামস্ট্রিং এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলি ভালোভাবে কাজ করে না। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলতে পারবেন এমন লেভেল নিশ্চিত করার জন্য অনেক ফাস্ট রানিং এবং অনেক কিছু আছে।
ফাফ ডু প্লেসিসির এমন মন্তব্যের পর মুখ খুলেন দলটির কোচ রব ওয়াল্টারও। ওয়াল্টার বলেন, যেহেতু আমাদের সামনের সারির কিছু বোলার বাদ পড়েছে এবং কিছু খেলোয়াড় আছে, তাই ফাফ (ডু প্লেসিস) ও রাইলি (রুশো) এবং কুইনি (ডি কক) কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।
এ বছরের শুরুতে আইপিএলের সর্বশেষ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ডু প্লেসি ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৭৩০ রান। যা আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। তবে পরের দুই আসরের জন্য বিবেচনায় ছিলেন না এই ডানহাতি ব্যাটার। যদিও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সাদা বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলেননি।