Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মমতাজ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:২০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

চলতি বছরের আগস্টে ভারতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বাংলাদেশে সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজের বিরুদ্ধে। চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করেছিল বহরমপুর আদালত। সেই মামলায় জামিন পেলেন মমতাজ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মমতাজ। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়।

এদিন আদালতে মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, ৯ আগস্ট কেন তার মক্কেল (মমতাজ) আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এরপর মমতাজের আইনজীবীর কথা শোনার পর বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলকেশ দাস জামিন মঞ্জুর করেন।

মমতাজের জামিনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। তাদের যুক্তি, মামলার অভিযোগ গঠন হওয়ার পরও কীভাবে জামিন পান এই শিল্পী। যদিও বিচারক এই যুক্তিকে আমলে না নিয়ে, পরবর্তী শুনানির দিন ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। মামলার বাদী শক্তিশঙ্কর বাগচী জামিনের বিরোধিতা করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের ওই হাই প্রোফাইল সংসদ সদস্যের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন পৃথকভাবে সিআরপিসি (ফৌজদারি) ২০৫ ভারতীয় আইনানুযায়ী আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে না ওই এমপিকে। তবে আদালতের নির্দেশ থাকলে অবশ্যই সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে তাকে।

এর আগে ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ।

শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে যাননি বাংলাদেশের এই সঙ্গীতশিল্পী। এমনকি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মমতাজ

প্রকাশের সময় : ০১:২০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

চলতি বছরের আগস্টে ভারতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বাংলাদেশে সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজের বিরুদ্ধে। চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করেছিল বহরমপুর আদালত। সেই মামলায় জামিন পেলেন মমতাজ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মমতাজ। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়।

এদিন আদালতে মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, ৯ আগস্ট কেন তার মক্কেল (মমতাজ) আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এরপর মমতাজের আইনজীবীর কথা শোনার পর বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলকেশ দাস জামিন মঞ্জুর করেন।

মমতাজের জামিনের বিরোধিতা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। তাদের যুক্তি, মামলার অভিযোগ গঠন হওয়ার পরও কীভাবে জামিন পান এই শিল্পী। যদিও বিচারক এই যুক্তিকে আমলে না নিয়ে, পরবর্তী শুনানির দিন ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। মামলার বাদী শক্তিশঙ্কর বাগচী জামিনের বিরোধিতা করে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের ওই হাই প্রোফাইল সংসদ সদস্যের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এদিন পৃথকভাবে সিআরপিসি (ফৌজদারি) ২০৫ ভারতীয় আইনানুযায়ী আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনটি আদালত মঞ্জুর করলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে না ওই এমপিকে। তবে আদালতের নির্দেশ থাকলে অবশ্যই সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে তাকে।

এর আগে ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ।

শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে যাননি বাংলাদেশের এই সঙ্গীতশিল্পী। এমনকি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।