Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি ‘বহাল’ রাখতে পারে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিদ্যুতের দাম এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং চুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এখনই চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে আপত্তি উঠলেও আপাতত বিদ্যুৎচুক্তি বাতিল করবে না বাংলাদেশ সরকার। কারণ দেশের চাহিদার প্রায় এক দশমাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গ্রুপ। তাই দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গে চুক্তি বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি দাম নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল তাও আপাতত স্থগিত থাকবে।

এর আগে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপের ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ১৬০০ মেগাওয়াটের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের জন্য একচেটিয়াভাবে বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ।

পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কিনা, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। প্রধানত বিশেষ আইনের অধীনে শুরু করা এবং স্বচ্ছতার অভাব আছে এমন প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবে এই কমিটি।

এদিকে আদানি গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি ও অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়েছে। তা ছাড়া বকেয়া বেড়ে যাওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছি, যা উদ্বেগের বিষয়।

অন্যদিকে প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জ শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অন্তর্র্বতী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি ‘বহাল’ রাখতে পারে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০২:০৭:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বিদ্যুতের দাম এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা অব্যাহত রাখবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং চুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এখনই চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে না।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে আপত্তি উঠলেও আপাতত বিদ্যুৎচুক্তি বাতিল করবে না বাংলাদেশ সরকার। কারণ দেশের চাহিদার প্রায় এক দশমাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি গ্রুপ। তাই দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ এবং আইনি জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গে চুক্তি বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি দাম নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল তাও আপাতত স্থগিত থাকবে।

এর আগে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপের ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ১৬০০ মেগাওয়াটের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের জন্য একচেটিয়াভাবে বিদ্যুৎ কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় বাংলাদেশ।

পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের করা চুক্তিগুলো জাতির স্বার্থ রক্ষা করেছে কিনা, তা যাচাই করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। প্রধানত বিশেষ আইনের অধীনে শুরু করা এবং স্বচ্ছতার অভাব আছে এমন প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবে এই কমিটি।

এদিকে আদানি গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি ও অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়েছে। তা ছাড়া বকেয়া বেড়ে যাওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছি, যা উদ্বেগের বিষয়।

অন্যদিকে প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতে এ সংক্রান্ত আইনি চ্যালেঞ্জ শক্তিশালী প্রমাণ ছাড়া ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ক্ষেত্রে যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে শুল্ক কমাতে পারস্পরিক চুক্তি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অন্তর্র্বতী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং এ ক্ষেত্রে আগেভাগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।