Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আড়াইহাজারে সড়কের খানাখন্দে বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পাঁচরুখি বাজার থেকে কালীবাড়ি বাজার পর্যন্ত সড়কটি ৩-৪ বছর ধরে খানাখন্দে বেহাল। বৃষ্টিরদিনে গর্তে পানি জমে চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক সড়কটিতে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচলসহ জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গা সড়ক দ্রুত সংস্কার করার জোর দাবি জানানো হয়।

সরেজমিনে খানাখন্দের স্থান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখি বাজার থেকে দুপ্তারা ইউনিয়নের কালীবাড়ি বাজার পর্যন্ত রোডের সম্পূর্ণ অংশ খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল অবস্থা দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা অংশে বৃষ্টির পানি জমে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে। সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও প্রাইভেটকারসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। রাস্তাটি অনেক খারাপ থাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ। অনেক যানবাহনকে খানাখন্দে জমে থাকা পানি অতিক্রম করেই চলাচল করতে হচ্ছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, এ বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করে পাঁচরুখি,রহমতপুর, কুমারপাড়া, ছোট বিনারচর, বড় বিনারচর, পাঁচগাঁও, সত্যবান্দি, মনোহরদি, লস্করদি, বইল্লাপাড়া, সিলমান্দি, কালীবাড়িসহ ১৫-২০টি এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করছে। এখানে রয়েছে বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়েই এ স্থানটি সারাক্ষণ লোকেলোকারণ্য থাকে। অথচ ৩ থেকে ৪ বছর ধরে রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ যানবাহনসহ পথচারী চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

কুমারপাড়া এলাকার অটোরিক্সা চালক আলম বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় আছে। এই রাস্তা দিয়ে লাখ মানুষ নিয়মিত চলাচল করে। শিক্ষার্থী সাগর মিয়া বলেন, প্রতিদিন কলেজে যেতে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হয় যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

সত্যবান্দীর আরেক অটোরিক্সা চালক সোহেল মিয়া বলেন, নিয়মিত অটোরিক্সা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে অটোরিক্সা ঠিক করতে টাকা ও সময় দুটোই চলে যাচ্ছে। এতে করে আমি পরিবার নিয়ে খারাপ সময় পার করছি। পাঁচরুখি বাজারের ব্যবসায়ী আমান বলেন, এই রাস্তার জন্য স্থানীয় সকল শ্রেণির মানুষ চরম ক্ষতির মধ্যে আছে। তাদের নীরব কান্না দেখার কেউ নেই। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে স্বস্তি ফিরবে সবার মাঝে।

পথচারী আবুল কাশেম বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ১২-১৫ বার আসা- যাওয়া করি। এই দুর্ভোগের কথা কার কাছে বলব আর এ ধরনের অবস্থা আর কতদিন থাকবে। এর উত্তর অজানাই থাকবে মনে হয়।

ট্রাকচালক কাজল ভুইয়া বলেন, রাস্তাটি দিয়ে যখন আসা-যাওয়া করি খুব আতঙ্কে থাকি, কখন গাড়িটা বসে যায়।

আরেক পথচারী শুক্কর আলি বলেন,রাস্তাটির অচল অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই দায়ী। সড়কটি দিয়ে অনেক শিল্পকারখানার মালামাল পরিবহন করা হয়। এদিক থেকে রাস্তাটির গুরুত্ব সবার আগে দেওয়া উচিৎ ছিল।

উপজেলা প্রকৌশল অফিসের তথ্য মতে, সড়কটি হচ্ছে প্যাকেজ প্রকল্প। চার-পাঁচটি রাস্তা নিয়ে এই প্রকল্প। রাস্তার টেন্ডার হয়েছে কিছুদিনের মধ্যে কাজ ধরা হবে। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের গড়িমসির কারণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, রাস্তাটি লিংক রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার হয়েছে, শীঘ্রই কাজ ধরা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পারলাম। উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে দ্রুত এর সমাধান করা যায়। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

আড়াইহাজারে সড়কের খানাখন্দে বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পাঁচরুখি বাজার থেকে কালীবাড়ি বাজার পর্যন্ত সড়কটি ৩-৪ বছর ধরে খানাখন্দে বেহাল। বৃষ্টিরদিনে গর্তে পানি জমে চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক সড়কটিতে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচলসহ জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গা সড়ক দ্রুত সংস্কার করার জোর দাবি জানানো হয়।

সরেজমিনে খানাখন্দের স্থান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখি বাজার থেকে দুপ্তারা ইউনিয়নের কালীবাড়ি বাজার পর্যন্ত রোডের সম্পূর্ণ অংশ খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল অবস্থা দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা অংশে বৃষ্টির পানি জমে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে। সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও প্রাইভেটকারসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। রাস্তাটি অনেক খারাপ থাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ। অনেক যানবাহনকে খানাখন্দে জমে থাকা পানি অতিক্রম করেই চলাচল করতে হচ্ছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, এ বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করে পাঁচরুখি,রহমতপুর, কুমারপাড়া, ছোট বিনারচর, বড় বিনারচর, পাঁচগাঁও, সত্যবান্দি, মনোহরদি, লস্করদি, বইল্লাপাড়া, সিলমান্দি, কালীবাড়িসহ ১৫-২০টি এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করছে। এখানে রয়েছে বাজারসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়েই এ স্থানটি সারাক্ষণ লোকেলোকারণ্য থাকে। অথচ ৩ থেকে ৪ বছর ধরে রাস্তার সম্পূর্ণ অংশ যানবাহনসহ পথচারী চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

কুমারপাড়া এলাকার অটোরিক্সা চালক আলম বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন খারাপ অবস্থায় আছে। এই রাস্তা দিয়ে লাখ মানুষ নিয়মিত চলাচল করে। শিক্ষার্থী সাগর মিয়া বলেন, প্রতিদিন কলেজে যেতে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হয় যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

সত্যবান্দীর আরেক অটোরিক্সা চালক সোহেল মিয়া বলেন, নিয়মিত অটোরিক্সা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে অটোরিক্সা ঠিক করতে টাকা ও সময় দুটোই চলে যাচ্ছে। এতে করে আমি পরিবার নিয়ে খারাপ সময় পার করছি। পাঁচরুখি বাজারের ব্যবসায়ী আমান বলেন, এই রাস্তার জন্য স্থানীয় সকল শ্রেণির মানুষ চরম ক্ষতির মধ্যে আছে। তাদের নীরব কান্না দেখার কেউ নেই। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হলে স্বস্তি ফিরবে সবার মাঝে।

পথচারী আবুল কাশেম বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ১২-১৫ বার আসা- যাওয়া করি। এই দুর্ভোগের কথা কার কাছে বলব আর এ ধরনের অবস্থা আর কতদিন থাকবে। এর উত্তর অজানাই থাকবে মনে হয়।

ট্রাকচালক কাজল ভুইয়া বলেন, রাস্তাটি দিয়ে যখন আসা-যাওয়া করি খুব আতঙ্কে থাকি, কখন গাড়িটা বসে যায়।

আরেক পথচারী শুক্কর আলি বলেন,রাস্তাটির অচল অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই দায়ী। সড়কটি দিয়ে অনেক শিল্পকারখানার মালামাল পরিবহন করা হয়। এদিক থেকে রাস্তাটির গুরুত্ব সবার আগে দেওয়া উচিৎ ছিল।

উপজেলা প্রকৌশল অফিসের তথ্য মতে, সড়কটি হচ্ছে প্যাকেজ প্রকল্প। চার-পাঁচটি রাস্তা নিয়ে এই প্রকল্প। রাস্তার টেন্ডার হয়েছে কিছুদিনের মধ্যে কাজ ধরা হবে। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের গড়িমসির কারণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, রাস্তাটি লিংক রোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় টেন্ডার হয়েছে, শীঘ্রই কাজ ধরা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পারলাম। উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে দ্রুত এর সমাধান করা যায়। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।