Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছেন : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দম বন্ধ পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি। আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এই দম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জিয়াউর রহমানের আদর্শ, সততা ধারণ করে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা ফিরে পাবো।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের সব দুর্যোগে মেজর জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ৭১ সালে দেশের নেতৃত্ব যখন দোদুল্যমান, তারা যখন কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছিলেন না, ঠিক ওই সময় সেনাবাহিনীর একজন মেজর চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি দুর্যোগে জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পূর্বসূরিরা জাতিকে একটা অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সিপাহী জনতা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে নিয়ে আসে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশাল বন্ধ না করলে বাকশাল যেভাবে কায়েম করা হয়েছিল তা অব্যাহত রাখা হতো। জিয়াউর রহমান রাজনীতি করেছেন, তেমনি সবাই রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন।

বর্তমান যারা ক্ষমতায় আছেন , তারা ‘৭৫ সালে ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে পুরো জাতিকে অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের সেই ব্যক্তি, যিনি কথা বলার স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে একটা মুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করেছিলেন। একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুতরাং এই জাতি কখনো অবিস্মরণীয় এই নেতাকে ভুলে যাবে না। শহীদ জিয়া না থাকলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না। তিনি না থাকলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি সেটা থাকত না।

‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু একাই রাজনীতি করেননি, তিনি অন্যদেরও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছেন : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দম বন্ধ পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি। আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এই দম বন্ধ করার মতো পরিস্থিতিতে আমরা বসবাস করছি। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জিয়াউর রহমানের আদর্শ, সততা ধারণ করে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমরা ফিরে পাবো।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশের সব দুর্যোগে মেজর জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ৭১ সালে দেশের নেতৃত্ব যখন দোদুল্যমান, তারা যখন কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছিলেন না, ঠিক ওই সময় সেনাবাহিনীর একজন মেজর চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি দুর্যোগে জিয়াউর রহমান জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পূর্বসূরিরা জাতিকে একটা অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সিপাহী জনতা বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে নিয়ে আসে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশাল বন্ধ না করলে বাকশাল যেভাবে কায়েম করা হয়েছিল তা অব্যাহত রাখা হতো। জিয়াউর রহমান রাজনীতি করেছেন, তেমনি সবাই রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন।

বর্তমান যারা ক্ষমতায় আছেন , তারা ‘৭৫ সালে ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে পুরো জাতিকে অন্ধকারের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের সেই ব্যক্তি, যিনি কথা বলার স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে একটা মুক্ত বাংলাদেশ তৈরি করেছিলেন। একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুতরাং এই জাতি কখনো অবিস্মরণীয় এই নেতাকে ভুলে যাবে না। শহীদ জিয়া না থাকলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না। তিনি না থাকলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি সেটা থাকত না।

‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু একাই রাজনীতি করেননি, তিনি অন্যদেরও রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।