ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো–চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহকে শোকজ করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাজী জাফর উল্যাহ ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ১৩ ডিসেম্বর বুধবার ভাংগা উপজেলাধীন শেখপুরা বাজারে মাইক ব্যবহার করে গণসংযোগ ও পথসভা করে নির্বাচনী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই লিংকটি পর্যালোচনায় পরিলক্ষিত হয়েছে, আপনি ভাংগা উপজেলাধীন শেখপুরা বাজারে আগত সর্বসাধারন, ব্যবসায়ীবৃন্দ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়কালে একটি সভায় যোগদান করেছেন। ওই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে আপনি নিম্নরূপ উক্তি করেছেন:
এমপিতো যে আছে সে তো আমাদের এলাকার না। সে হলো মাদারীপুর থেকে শিবচরের। সেই আসছে এখানে বালি কাটতে, সে আসছে টাকা বানাতে, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তেন করতে কি সে আসছে? সে বলে কাজী মাহাবুল্লাহ একটা চোর। সে বলে যে আমি ফকিরের গোষ্ঠির লোক। ফকিনির ছেলে। আপনারা বুঝতে পারছেন যে, আমারে যদি একথা কয় কাজী মাহাবুল্লাহরে যদি এই কথা কয় তাহলে আপনাদের কি অবস্থা করবে। তার যে কতটা হিংসা, বিদ্বেষ।
আপনার ওই বক্তব্য সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক) এর পরিপন্থী। একইসঙ্গে, আপনি উক্ত সভা সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমতি গ্রহণ ও স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে সভায় অংশ গ্রহণ করে ওই বিধিমালার বিধি ৬(খ) ও ৬(গ) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এছাড়া, আপনি ওই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে আরও উল্লেখ করেছেন যে, ইনশাআল্লাহ এবার আমরা প্রমাণ করে দিব এই এলাকার মানুষ তারা নৌকাকে ভালোবাসে। নৌকা প্রতীককে ভোট দিবে। কাজী জাফর উল্লাহকে ভোট দিবে- যা ওই বিধিমালার বিধি ১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নোটিশে আরও বলা হয়, জাফর উল্লাহ সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক), ৬(খ) ও ৬(গ) এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হবে না সেই মর্মে ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ্ঞ আদালত, ফরিদপুর এ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।