Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগৈলঝাড়ায় সওজ’র জায়গা বালু ভরাট করে দখল

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে  : 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে বালু ভরাট করছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। পুলিশ ও ভূমি অফিসের লোকজন গিয়ে বালু ভরাট বন্ধ করে দিলেও অজানা কারণে পুনরায় বালু ভরাট শুরু করেছেন ওই ব্যক্তি।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-কোটালীপাড়া মহাসড়কে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস সড়কের কুয়াতিয়ারপাড় নামক স্থানে মেডিকেল এসিন্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাট্স) সংলগ্ন সওজ’র জায়গার পাশে সফিকুল ইসলাম সকুল সেরনিয়াবাতের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গা আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বালু ভরাট শুরু করলেও প্রশাসনের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ওই জায়গা সকুল সেরনিয়াবাত উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. আতিকুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। ওই ৯ শতাংশ জায়গার পাশে সওজ’র জায়গা রয়েছে। কিন্তু আতিকুর রহমান নিজের জায়গার সাথে সওজ জায়গাও বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে নিচ্ছেন।

বালু ভরাট কাজ শুরু করার পর পুলিশ ও ভূমি অফিসের লোকজন গিয়ে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন। কয়েকদিন পরে রহস্যজনক কারণে পুনরায় বালু ভরাট শুরু করেন আতিকুর রহমান।

স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, সকলকে ম্যানেজ করে সওজ’র জায়গা বালু ভরাট করছে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি।

এ ব্যাপারে বালু ভরাটকারী অতিকুর রহমান বলেন, সড়কের পাশে সবাই সরকারী জায়গা ভরাট করে। তাই আমিও ভরাট করেছি।

রত্নপুর ইউনিয়ন সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা উত্তম বেপারী বলেন, সরকারী জায়গা কেউ ভরাট করতে পারেনা। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে কি কারণে পুনরায় বালু ভরাট কাজ শুরু করেছে তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন।

এব্যাপারে বরিশাল সওজ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন মিয়া বলেন, সওজ’র জায়গা কেউ ভরাট করতে পারেনা। যদি ভরাট করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক বলেন, বালু ভরাটের কথা শুনলাম। আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ সরদারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তারেক রহমান

আগৈলঝাড়ায় সওজ’র জায়গা বালু ভরাট করে দখল

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে  : 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে বালু ভরাট করছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। পুলিশ ও ভূমি অফিসের লোকজন গিয়ে বালু ভরাট বন্ধ করে দিলেও অজানা কারণে পুনরায় বালু ভরাট শুরু করেছেন ওই ব্যক্তি।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-কোটালীপাড়া মহাসড়কে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস সড়কের কুয়াতিয়ারপাড় নামক স্থানে মেডিকেল এসিন্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাট্স) সংলগ্ন সওজ’র জায়গার পাশে সফিকুল ইসলাম সকুল সেরনিয়াবাতের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গা আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বালু ভরাট শুরু করলেও প্রশাসনের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে ওই জায়গা সকুল সেরনিয়াবাত উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. আতিকুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। ওই ৯ শতাংশ জায়গার পাশে সওজ’র জায়গা রয়েছে। কিন্তু আতিকুর রহমান নিজের জায়গার সাথে সওজ জায়গাও বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে নিচ্ছেন।

বালু ভরাট কাজ শুরু করার পর পুলিশ ও ভূমি অফিসের লোকজন গিয়ে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন। কয়েকদিন পরে রহস্যজনক কারণে পুনরায় বালু ভরাট শুরু করেন আতিকুর রহমান।

স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, সকলকে ম্যানেজ করে সওজ’র জায়গা বালু ভরাট করছে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি।

এ ব্যাপারে বালু ভরাটকারী অতিকুর রহমান বলেন, সড়কের পাশে সবাই সরকারী জায়গা ভরাট করে। তাই আমিও ভরাট করেছি।

রত্নপুর ইউনিয়ন সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা উত্তম বেপারী বলেন, সরকারী জায়গা কেউ ভরাট করতে পারেনা। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তবে কি কারণে পুনরায় বালু ভরাট কাজ শুরু করেছে তা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন।

এব্যাপারে বরিশাল সওজ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন মিয়া বলেন, সওজ’র জায়গা কেউ ভরাট করতে পারেনা। যদি ভরাট করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বণিক বলেন, বালু ভরাটের কথা শুনলাম। আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ সরদারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবো।