Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগৈলঝাড়ায় ঘুষ নিয়ে চাকুরি না দেওয়ায় বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগে দায়ের

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি :

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ নিয়ে চাকুরি না দেওয়ার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৭ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আয়া পদে ৭ জন, নিরাপত্তা কমী পদে ৪ জন ও অফিস সহকারী পদে ৯ জন আবেদন করলেও ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে ৭ জন বরিশাল জেলা স্কুলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অফিস সহকারী পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাদল মজুমদারের কাছ থেকে ওই বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে ২০ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের সনাতন সরকারের ছেলে সুজিত সরকার, নিরাপত্তা কর্মী পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের মঙ্গল সরকারের ছেলে মহিম সরকার ও আয়া পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত নৃপেন গোলদারের স্ত্রী নিপা হালদারকে নিয়োগ প্রদান করেন। চাকুরি না পেয়ে বাদল মজুমদার শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এঘটনার বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. সুনীল কুমার হাওলাদারের কাছে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নই। তারপরে আমাকে কর্মচারী নিয়োগে টাকা নেয়ার ব্যাপারে জড়িয়েছে। আমি নিয়োগের ব্যাপারে কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা কথা বলছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. সুনীল কুমার হাওলাদার স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারকে গত ৭ এপ্রিল প্রথমবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সে কোন জবাব না দেওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে সভা করে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে এক সপ্তাহ পূর্বে আমার কাছে দেয়া হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ঘুষ নিয়ে চাকুরি না দেওয়ায় বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগে দায়ের

প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি :

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ নিয়ে চাকুরি না দেওয়ার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৭ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আয়া পদে ৭ জন, নিরাপত্তা কমী পদে ৪ জন ও অফিস সহকারী পদে ৯ জন আবেদন করলেও ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে ৭ জন বরিশাল জেলা স্কুলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অফিস সহকারী পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাদল মজুমদারের কাছ থেকে ওই বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে ২০ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের সনাতন সরকারের ছেলে সুজিত সরকার, নিরাপত্তা কর্মী পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের মঙ্গল সরকারের ছেলে মহিম সরকার ও আয়া পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত নৃপেন গোলদারের স্ত্রী নিপা হালদারকে নিয়োগ প্রদান করেন। চাকুরি না পেয়ে বাদল মজুমদার শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এঘটনার বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. সুনীল কুমার হাওলাদারের কাছে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নই। তারপরে আমাকে কর্মচারী নিয়োগে টাকা নেয়ার ব্যাপারে জড়িয়েছে। আমি নিয়োগের ব্যাপারে কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা কথা বলছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. সুনীল কুমার হাওলাদার স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারকে গত ৭ এপ্রিল প্রথমবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। সে কোন জবাব না দেওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে সভা করে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে এক সপ্তাহ পূর্বে আমার কাছে দেয়া হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।