নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিউমার্কেটগামী রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংসদ ভবন সংলগ্ন আড়ং মোড় থেকে নিউমার্কেটগামী রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ। এর ফলে সে রাস্তায় কোন পরিবহন প্রবেশ করতে পারছে না। বিপাকে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ৫টা ৪০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে আজিমপুর-নিউমার্কেট রুটের গাড়ি চলাচল। তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। যদিও বিকল্প হিসেবে আজিমপুর রুটের বাস, মিনিবাস, লেগুনা, রিকসা চলাচল করছে কাঁটাবন-পলাশী রুটে। বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরও তীব্র যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিউমার্কেটগামী মিরপুর সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কে পরিবহনের সংখ্যাও কম। দু’একটি বাস প্রবেশ করলেও তা কানায় কানায় ভর্তি। এ অবস্থায় অফিসগামী সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বেশ বিপাকে। বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে ব্যর্থ হওয়ায় হেঁটেই গন্তব্যস্থলে রওনা হয়েছেন অনেকে।
রফিক আহমেদ ভুইয়া মহাখালী একটি রিক্রুট এজেন্সিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, অফিস সময় শুরু হয়ে এলো তবে এখনও পৌঁছাতে পারলাম না। আগুন লাগার কারণে উৎসুক মানুষের ভিড়ে যানজট তৈরি হচ্ছে।
চাকুরিজীবী হাসান জয় বলেন, নিউমার্কেটে আগুনের ঘটনা জানা ছিল না, রাস্তায় এসে দেখি এই অবস্থা। অনেকক্ষণ ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করে শেষে হাঁটা শুরু করলাম।
আরেক চাকুরিজীবী মুরাদ হোসেন বলেন, অফিস যাওয়ার জন্য রাস্তায় এসে দেখি- কোনো বাস নাই। নিউমার্কেটে আগুন লাগার জন্য নাকি রাস্তা বন্ধ। যথাসময়ে অফিস যেতে পারবো কিনা সন্দেহ হচ্ছে।
এদিকে রাস্তায় বাস না থাকায় রিকশা, সিএনজি নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছে।
ধানমন্ডি ২৭ থেকে কলাবাগান যাবেন আফরোজা ইসলাম। সাধারণত এই গন্তব্যের ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা হলেও রিকশাওয়ালা তার কাছ থেকে ৬০ টাকা চাচ্ছিলো। অগত্যা উপায় না পেয়ে তিনি হেঁটেই রওনা দেন।
তিনি বলেন, এইটুকু রাস্তায় ৬০ টাকা ভাড়া চাওয়া অযৌক্তিক। তাই হেঁটেই যাচ্ছি।
ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অফিস টাইম হওয়ায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে বেগ পোহাতে হচ্ছে রাস্তা ফাঁকা করতে। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সহজে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে।