Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে সমন্বয় করা যায় তাহলে রমজানকে ঘিরে স্কুল খোলা রাখা নিয়ে যারা এই অপপ্রয়াস চালাচ্ছে তাদের সেই অপপ্রয়াস বন্ধ করতে পারি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়।

পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে। আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো বছরে ৫২টি শনিবার আছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে যদি রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক হচ্ছে, বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের অপ্রয়াস যাতে বন্ধ করতে পারি। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো। যাতে আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে, সে ধরনের অপচেষ্টা কেউ না করতে পারে। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে; আমরা চেষ্টা করবো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। আমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করব। আপনারা দেখেছেন এই রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে কি ধরনের অপপ্রচার হয়েছে। এ মহল আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে রায় নিয়ে এসে যাতে বিশৃঙ্খলা এবং রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ করব। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছেন। এসব মানুষের মধ্যে এক ধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক মনোভাব এবং শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময় অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে পাঠ্যবইকেও ওসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথেও আলোচনা করেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করার প্রয়াসই করতে না পারে। আমরা সকল বিষয়গুলো আরও কেয়ারফুলি দেখব। সমাজে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করতে পারে এমন ইঙ্গিত পেলেও সেটা নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক ধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা।

সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলেম ওলামাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো, তাদের একটা অবস্থান আছে এ বিষয়ে। আগামীতে শিক্ষা পরিবার সংবিধানের মূলনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুষম বাংলাদেশ সৃষ্টি করবো আমরা যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষেরও শিক্ষা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না।

তিনি বলেন, পঁচাত্তুর পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার মাধ্যমে ইতিহাসকে বেশি বিকৃত করা হয়েছিল। এই সময়ের সরকারগুলো মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার এমন হীন কোনও প্রচেষ্টা নেই যা তারা করেনি। ভুল বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সব ধর্ম-বর্ণের লোক স্বাধীনভাবে থাকবে। এখনও শিক্ষাব্যবস্থাকে গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যেতে একটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

আগামী বছর থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে সমন্বয় করা যায় তাহলে রমজানকে ঘিরে স্কুল খোলা রাখা নিয়ে যারা এই অপপ্রয়াস চালাচ্ছে তাদের সেই অপপ্রয়াস বন্ধ করতে পারি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়।

পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়েও বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে। আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো বছরে ৫২টি শনিবার আছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে যদি রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক হচ্ছে, বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের অপ্রয়াস যাতে বন্ধ করতে পারি। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো। যাতে আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে, সে ধরনের অপচেষ্টা কেউ না করতে পারে। এটা নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে; আমরা চেষ্টা করবো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। আমরা যার যার ধর্ম সে সে পালন করব। আপনারা দেখেছেন এই রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে কি ধরনের অপপ্রচার হয়েছে। এ মহল আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে রায় নিয়ে এসে যাতে বিশৃঙ্খলা এবং রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ করব। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছেন। এসব মানুষের মধ্যে এক ধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক মনোভাব এবং শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময় অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে চায়। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে পাঠ্যবইকেও ওসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথেও আলোচনা করেছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করার প্রয়াসই করতে না পারে। আমরা সকল বিষয়গুলো আরও কেয়ারফুলি দেখব। সমাজে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করতে পারে এমন ইঙ্গিত পেলেও সেটা নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক ধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা।

সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলেম ওলামাদের সঙ্গেও আলোচনা করবো, তাদের একটা অবস্থান আছে এ বিষয়ে। আগামীতে শিক্ষা পরিবার সংবিধানের মূলনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুষম বাংলাদেশ সৃষ্টি করবো আমরা যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষেরও শিক্ষা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না।

তিনি বলেন, পঁচাত্তুর পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার মাধ্যমে ইতিহাসকে বেশি বিকৃত করা হয়েছিল। এই সময়ের সরকারগুলো মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার এমন হীন কোনও প্রচেষ্টা নেই যা তারা করেনি। ভুল বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সব ধর্ম-বর্ণের লোক স্বাধীনভাবে থাকবে। এখনও শিক্ষাব্যবস্থাকে গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যেতে একটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।