Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংবিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। এ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং সংলাপের কোনো প্রশ্নই উঠবে না।

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান এবং আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব। আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করবে। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও আইনি কাঠানোর ওপর নির্ভর করে নির্বাচন দেখতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নে জবাবে কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে আমরা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে আমরা কেন বিতর্ক করতে যাব? সেটা তাদের ব্যাপার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা আগামী নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের সংবিধান ও বিধি বিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন হবে।

তিনি জানান, সংলাপ নিয়ে প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেননি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংসদ বিলুপ্তির বিষয় নিয়েও প্রতিনিধি দল কোনো কথা বলেননি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধাক সরকারের প্রশ্নই ওঠে না।
বিএনপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক করতে চাই না। সংলাপ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো ইস্যুতেই তাদের (ইইউ প্রতিনিধি দল) সঙ্গে কথা হয়নি। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো কিছুই মানি না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মো. জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকা অফিসে সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনি অনুসন্ধানী মিশন গত ৯ জুলাই ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। দুই সপ্তাহের সফর আগামী ২৩ জুলাই শেষ হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংবিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। এ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং সংলাপের কোনো প্রশ্নই উঠবে না।

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ হোটেল শেরাটনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছেন, আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান এবং আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব। আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করবে। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও আইনি কাঠানোর ওপর নির্ভর করে নির্বাচন দেখতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে আশ্বস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নে জবাবে কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে আমরা বললাম। বিএনপির সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা নিয়ে আমরা কেন বিতর্ক করতে যাব? সেটা তাদের ব্যাপার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, আইনি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে তারা আগামী নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের সংবিধান ও বিধি বিধান অনুসারে আগামী নির্বাচন হবে।

তিনি জানান, সংলাপ নিয়ে প্রতিনিধিদল কোনো কথা বলেননি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সংসদ বিলুপ্তির বিষয় নিয়েও প্রতিনিধি দল কোনো কথা বলেননি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। এখানে পার্লামেন্ট বিলুপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তত্ত্বাবধাক সরকারের প্রশ্নই ওঠে না।
বিএনপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক করতে চাই না। সংলাপ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো ইস্যুতেই তাদের (ইইউ প্রতিনিধি দল) সঙ্গে কথা হয়নি। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো কিছুই মানি না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মো. জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকা অফিসে সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনি অনুসন্ধানী মিশন গত ৯ জুলাই ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। দুই সপ্তাহের সফর আগামী ২৩ জুলাই শেষ হবে।