Dhaka শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচন যত সহজ ভাবছেন, তত সহজ নয় : তারেক রহমান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৭৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন পরে নির্বাচন হবে। আমি এক বছর আগে বলেছিলাম, এই নির্বাচনটি আমরা যত সহজ ভাবছি, একচুয়ালি (প্রকৃতপক্ষে) নির্বাচনটি তত সহজ নয়। সেদিন অনেকেই আমার কথাটি একটু হেসেখেলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে কিন্তু আপনারা প্রত্যেকেই অনুধাবন করতে পারছেন আমার সেদিনকার কথার অর্থ।’

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের রায় আপনার দলের পক্ষে, ধানের শীষের পক্ষে আনতে হবে। নির্বাচনের দিন, ভোটের দিন, ভোটের মাধ্যমে রায় আনতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, দেশের জন্য কি কি করতে চাই, সেটা আমরা যদি শুধু আমাদের নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি তাহলে তো আমরা সংকুচিত হয়ে যাবো। আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের ঘরে ঘরে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

তিনি বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতা-কর্মী। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এই দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবিলা করেছেন। তাহলে এখন কেন এই সামনের যে নির্বাচনী যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারবেন না? আপনাদের দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে, দেশকে ঘিরে– কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না? চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে।’

তারেক বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগণের সমর্থন পেতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন। আসুন আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করি।

তারেক বলেন, আপনি নিজের এলাকায় যাবেন, আপনি কষ্ট করবেন আপনার দলের পরিকল্পনাগুলোকে সফল করার জন্য। আপনার সামনে থাকবে ধানের শীষ। আপনার সামনে কোনো ব্যক্তি থাকবে না। ধানের শীষকে আপনি বের করে নিয়ে আসবেন, ধানের শীষের পক্ষে আপনি জনগণের মতামতকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। আপনি জনগণের মতামতকে এক জায়গায় ব্যালট বক্সের ভেতরে নিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, আপনাদের মিটিং করে বললে হবে না। ছোট ছোট গ্রুপ করে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মাঠে মাঠে যেতে হবে। কৃষকের ক্ষেতে যেতে হবে। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের কাছে যেতে হবে, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে যেতে হবে, ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যেতে হবে, স্কুল-কলেজের তরুণ-তরুণীদের কাছে যেতে হবে, যুবকদের কাছে যেতে হবে। আপনারা পেরেছেন স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করতে, আপনারা পেরেছেন ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে। গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের এই কাজেও আপনারা সফল হবেন—এই প্রত্যাশা আমি করছি।’

তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনাগুলো জনগণকে জানতে হবে। আপনারা ছাড়া জনগণের পক্ষে জানা সম্ভব না। আপনি যদি না যান, আরেকজন যাচ্ছে সে গিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জনগণের মাঝে। কাজেই এই মিথ্যা বিভ্রান্তি তখনই বন্ধ হবে যখন আপনি মাঠে হাজির হয়ে যাবেন।

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

আবহাওয়া

দেশের সব দল নির্বাচনে এলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও অংশ নেবে : কাদের সিদ্দিকী

আগামী নির্বাচন যত সহজ ভাবছেন, তত সহজ নয় : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন পরে নির্বাচন হবে। আমি এক বছর আগে বলেছিলাম, এই নির্বাচনটি আমরা যত সহজ ভাবছি, একচুয়ালি (প্রকৃতপক্ষে) নির্বাচনটি তত সহজ নয়। সেদিন অনেকেই আমার কথাটি একটু হেসেখেলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে কিন্তু আপনারা প্রত্যেকেই অনুধাবন করতে পারছেন আমার সেদিনকার কথার অর্থ।’

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের রায় আপনার দলের পক্ষে, ধানের শীষের পক্ষে আনতে হবে। নির্বাচনের দিন, ভোটের দিন, ভোটের মাধ্যমে রায় আনতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, দেশের জন্য কি কি করতে চাই, সেটা আমরা যদি শুধু আমাদের নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি তাহলে তো আমরা সংকুচিত হয়ে যাবো। আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের ঘরে ঘরে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

তিনি বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতা-কর্মী। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এই দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবিলা করেছেন। তাহলে এখন কেন এই সামনের যে নির্বাচনী যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারবেন না? আপনাদের দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে, দেশকে ঘিরে– কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না? চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে।’

তারেক বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগণের সমর্থন পেতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন। আসুন আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করি।

তারেক বলেন, আপনি নিজের এলাকায় যাবেন, আপনি কষ্ট করবেন আপনার দলের পরিকল্পনাগুলোকে সফল করার জন্য। আপনার সামনে থাকবে ধানের শীষ। আপনার সামনে কোনো ব্যক্তি থাকবে না। ধানের শীষকে আপনি বের করে নিয়ে আসবেন, ধানের শীষের পক্ষে আপনি জনগণের মতামতকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। আপনি জনগণের মতামতকে এক জায়গায় ব্যালট বক্সের ভেতরে নিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, আপনাদের মিটিং করে বললে হবে না। ছোট ছোট গ্রুপ করে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মাঠে মাঠে যেতে হবে। কৃষকের ক্ষেতে যেতে হবে। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের কাছে যেতে হবে, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে যেতে হবে, ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যেতে হবে, স্কুল-কলেজের তরুণ-তরুণীদের কাছে যেতে হবে, যুবকদের কাছে যেতে হবে। আপনারা পেরেছেন স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করতে, আপনারা পেরেছেন ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে। গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের এই কাজেও আপনারা সফল হবেন—এই প্রত্যাশা আমি করছি।’

তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনাগুলো জনগণকে জানতে হবে। আপনারা ছাড়া জনগণের পক্ষে জানা সম্ভব না। আপনি যদি না যান, আরেকজন যাচ্ছে সে গিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জনগণের মাঝে। কাজেই এই মিথ্যা বিভ্রান্তি তখনই বন্ধ হবে যখন আপনি মাঠে হাজির হয়ে যাবেন।

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।