Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী নির্বাচন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা নগরে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদেরকে পরাজিত করার জন্য, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নির্বাচন নির্দলের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আজকের এই সময়ে আমরা আমাদের মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি। আমাদের সমগ্র জাতির কাছে তা প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, এই মহান নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় যখন দেশ রাজনৈতিক ব্যর্থতায় চলছিল তখন এই মহান মুক্তিযোদ্ধা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়ার তিনি পুরো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে এই সরকার। তার সন্তান তারেক রহমান আজ প্রবাসে নির্বাচিত জীবনযাপন করছেন। ৩৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের এই নেতার শাহাদত বার্ষিকী নতুন করে প্রেরণা যোগাবে। নতুন করে শপথ নিয়েছি হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।

নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে সরকার বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুর্নীতির মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন আদালত। আর এ রায় থেকে বোঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দখলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটি একটি ফরমেয়েশি রায়। এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রায় থেকে বুঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করতে চায় সরকার। সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। জনগণ রাজপথে তাদের অধিকার আদায়ে করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখতে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়ে সরকার। এ সরকারের শুভ বুদ্ধির সম্ভাবনা নেই। একমাত্র রাজপথের উত্তাল আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই এমন সময়ে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। নতুন করে শপথ নিয়েছি, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, রাজনৈতিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, একটি সুষ্ঠু ভোট থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং যাতে একদলীয় নির্বাচন করতে পারে তার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। কিন্তু এবার জনগণ সেটা করতে দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ঘটনা থেকে পরিষ্কার সরকারকে দিয়ে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে না। একমাত্র জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে পরাজিত করে আইন ও গণতন্ত্রের শাসন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফেরত আনতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনঃরুদ্ধার করবো। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

খালেদা জিয়া গৃহবন্দি হয়ে আছেন বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নিস্তব্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০২:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী নির্বাচন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা নগরে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদেরকে পরাজিত করার জন্য, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নির্বাচন নির্দলের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আজকের এই সময়ে আমরা আমাদের মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি। আমাদের সমগ্র জাতির কাছে তা প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, এই মহান নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় যখন দেশ রাজনৈতিক ব্যর্থতায় চলছিল তখন এই মহান মুক্তিযোদ্ধা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়ার তিনি পুরো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে এই সরকার। তার সন্তান তারেক রহমান আজ প্রবাসে নির্বাচিত জীবনযাপন করছেন। ৩৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের এই নেতার শাহাদত বার্ষিকী নতুন করে প্রেরণা যোগাবে। নতুন করে শপথ নিয়েছি হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।

নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে সরকার বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুর্নীতির মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন আদালত। আর এ রায় থেকে বোঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দখলে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটি একটি ফরমেয়েশি রায়। এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রায় থেকে বুঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করতে চায় সরকার। সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। জনগণ রাজপথে তাদের অধিকার আদায়ে করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখতে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়ে সরকার। এ সরকারের শুভ বুদ্ধির সম্ভাবনা নেই। একমাত্র রাজপথের উত্তাল আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই এমন সময়ে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। নতুন করে শপথ নিয়েছি, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, রাজনৈতিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, একটি সুষ্ঠু ভোট থেকে জনগণকে দূরে রাখা এবং যাতে একদলীয় নির্বাচন করতে পারে তার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। কিন্তু এবার জনগণ সেটা করতে দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ঘটনা থেকে পরিষ্কার সরকারকে দিয়ে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে না। একমাত্র জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে পরাজিত করে আইন ও গণতন্ত্রের শাসন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফেরত আনতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনঃরুদ্ধার করবো। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

খালেদা জিয়া গৃহবন্দি হয়ে আছেন বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নিস্তব্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।