নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এ ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরেই নয়, সারাদেশেও পাওয়া যাবে না। সেভাবেই আমরা কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তুলছি। ইনশাআল্লাহ আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যেই কামরাঙ্গীরচরের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পিত নগরায়নের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা কামরাঙ্গীরচরবাসী পাবে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণি’র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মেয়র শেখ তাপস বলেন, কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে। আমরা ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার যে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি, এরই অংশ হিসেবে কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক বা ফিন্যান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা আদি বুড়িগঙ্গা পুনর্খনন করছি। আদি বুড়িগঙ্গা তার রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই আমরা নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করবো। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় আমরা ছয় সারির একটি আধুনিক সেতু নির্মাণ করবো। এর উত্তর দিকে যে এলাকা রয়েছে আমরা সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০ তলাবিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করবো। আর দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে তুলবো।
মেয়র বলেন, এছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও চার সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এসময় কামরাঙ্গীরচর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আপনারা আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, এখানে যেসব সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। কেউ বঞ্চিত হবে না। যথাসময়ের ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আজকে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে আমরা যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকব। সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে আমরা শেখ হাসিনাকে বিজয় উপহার দেব।
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটির নিজস্ব অর্থায়নে এ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৪ ফুট গড় প্রশস্ততার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।