নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীতে যৌথভাবে আমাদের আন্দোলন এগিয়ে যাবে। সব শক্তি যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে যোগ দিতে পারে এবং সবার সহযোগিতা চাইব আমরা। এ জন্য আমরা একটি যৌথ ঘোষণা দেবো আগামী ১২ জুলাই। রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঘোষণা হবে। আমরা যথেষ্ট সময় নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতেও যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
সোমবার (১০ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেলে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
আমীর হোসেন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র মন্ত্রের সাথে আলোচনা করেছি। এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন দলের সাথে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলন চলমান আছে, চলমান আন্দোলন এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে এখন একটা বার্তা দেয়ার সময় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পতনের পরে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন হবে। তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যারা জয়ী হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
আন্দোলনে যে ৩৬ রাজনৈতিক দল রয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে কী না বা তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, না আমরা যথেষ্ট সময় নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতেও যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি। আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা জন্য কয়েক মাস কাজ করেছি। সেই যৌথ ঘোষণা এখন আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করছি। আশাও রাখতে চাই এই যৌথ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আন্দোলনের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গা বাড়িয়ে তুলবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি পরিবর্তনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অনতিবিলম্বে এই সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না। ফলে মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা দেশবাসী দেখতে চায়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে একটি কার্যকারী ঐক্য গড়ে তুলবে এবং এই দুঃশাসন থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করবে।’
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আরও অংশ নেয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। আর গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে অংশ নেয় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।