নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ থেকে যে টাকা পাচার করেছে তা দিয়ে ১০০-এর বেশি পদ্মা সেতু তৈরি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বিমা পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, এই যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার আমরা পত্রিকায় পড়েছি, এখন আসলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের মানুষ যারা গ্রামগঞ্জে আছে তাকে কীভাবে বুঝাবেন? যদি আমি বলি যে, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করে নিয়ে গেছে, সে কি বলবে? এ অঙ্কটা সে কি কিছু বুঝবে, কত টাকা? বাংলাদেশের যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের উপলব্ধির জন্য আমি একটু সহজ বাংলায় বলি। আওয়ামী সরকার বিগত ১৫ বছরে যে টাকা পাচার করেছে তা দিয়ে ১০০-এর বেশি পদ্মা সেতু তৈরি সম্ভব।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন যে বিলাতে অত্যন্ত বিশ্ববিখ্যাত নামি একটি পত্রিকা একটি রিপোর্ট করেছে এবং সেখানে তারা উল্লেখ করেছে যে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। ২৩৪ বিলিয়ন ডলার একটা টাকা দুই টাকা না। বিলাতের ওই সাংবাদিক কিন্তু এ পাচারের ব্যাপারে শুধু বাংলাদেশকে দোষী করেননি, বিলাতকেও দোষী করেছেন।
শহুরে জনগণের বোঝার জন্য তিনি বলেন, যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেই টাকা বাংলাদেশের ৫ বছরের ৫টি বাজেটের সমতুল্য। এগুলো কার টাকা লোপাট করেছে? এ দেশের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের টাকা, তাদের নিজের টাকা না।
গণতন্ত্রই আমাদের সর্বশেষ মুখ্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রটাই কিন্তু আমাদের সর্বশেষ মুখ্য নয়। আমাদের মুখ্য হচ্ছে অন্য কিছু, যেটা গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে পারি। অর্থাৎ, গণতন্ত্র হচ্ছে আমাদের মেকানিজম। সেই মেকানিজমের মধ্যদিয়ে আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের যে জীবনধারণ পদ্ধতি সেটাকে সুন্দর করে তুলতে চাই, সেটাই হচ্ছে আমাদের মুখ্য। আমরা একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই যেখানে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় তারা এখানে বসবাস করবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বিমা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক খাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।