নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী সরকার জনগণের বাক-স্বাধীনতাসহ ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করেছে। ফ্যাসিবাদের জুলুম নির্যাতন মোকাবিলা করে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ভার্চ্যুয়াল সদস্য সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মুজিবুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের দুর্বল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের জন্য দোয়া করতে ও সাহায্য পাঠাতে হবে। কোন ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সংগঠনের কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জালিম শাসকের বিরুদ্ধে হক কথা বলতে হবে। এখন সময় এসেছে, জান-মালের কুরবানির বিনিময়ে হলেও জুলুমবাজ সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিকে কাজ করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয়ী হতে হবে।
ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন, জামায়াত সব সময় অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে জামায়াতকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তি ও ইসলামের দুশমনেরা বসে নেই। তারা ৯২ শতাংশ মুসলমানদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ইসলামের আদর্শ বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা চালু করতে চাইছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একজন মুসলমানের সন্তানের ইসলাম সম্পর্কে জানার ও বোঝার সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা চালু করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর গণভিত্তি তৈরি করতে হবে। নিজস্ব ভোট ব্যাংক তৈরি করতে হবে। আমাদের শীর্ষ নেতাকর্মীদেরকে শহীদ করে দেয়া হয়েছে, আমীরে জামায়াতসহ অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি রয়েছেন, এটিএম আজহারুল ইসলাম ভাই দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। আমরা সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।
দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল হালিম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।