Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য সব শক্তি প্রয়োগ করেছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য সব শক্তি প্রয়োগ করেছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোটগ্রহণের সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা। একতরফা নির্বাচনের উচ্ছ্বাস সংবরণ করতে পারেন না শেখ হাসিনা।

দেশ এক ভয়ংকর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে বলে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭১ এর চেয়েও ভয় আর শঙ্কার দুঃসময়ে দেশের জনগণ নিপতিত। চারিদিকে শুধু অধিকারবঞ্চিত মানুষের করুণ আর্তনাদ, হাহাকার আর বেদনাবিধুর উপাখ্যান। ভয় আর শঙ্কা মানুষের পিছু নিয়েছে।

তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি এবং এক দলের দুঃশাসনে বাংলাদেশের মানুষ এক বন্দি শিবিরে আটকে আছে। মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘গ্যারান্টিপত্র’ আদায় করা হয়েছে। আর সেজন্য জনগণের পছন্দে সরকার গঠন ও পরিবর্তনে গণতান্ত্রিক রীতিকে গুম করা হয়েছে। জনগণকে দমন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন সর্বগ্রাসী রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।

পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশির নামে ব্যাপক ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। এসময় তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৩৯৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মামলা হয়েছে আটটি, এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৬৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৯০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলা ও সংঘর্ষে ১৪ জন (সাংবাদিক ১ জন) নেতাকর্মী মারা গেছেন।

১৮টি মিথ্যা মামলায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ১৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

আওয়ামী সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য সব শক্তি প্রয়োগ করেছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য সব শক্তি প্রয়োগ করেছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোটগ্রহণের সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা। একতরফা নির্বাচনের উচ্ছ্বাস সংবরণ করতে পারেন না শেখ হাসিনা।

দেশ এক ভয়ংকর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে বলে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭১ এর চেয়েও ভয় আর শঙ্কার দুঃসময়ে দেশের জনগণ নিপতিত। চারিদিকে শুধু অধিকারবঞ্চিত মানুষের করুণ আর্তনাদ, হাহাকার আর বেদনাবিধুর উপাখ্যান। ভয় আর শঙ্কা মানুষের পিছু নিয়েছে।

তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি এবং এক দলের দুঃশাসনে বাংলাদেশের মানুষ এক বন্দি শিবিরে আটকে আছে। মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার ‘গ্যারান্টিপত্র’ আদায় করা হয়েছে। আর সেজন্য জনগণের পছন্দে সরকার গঠন ও পরিবর্তনে গণতান্ত্রিক রীতিকে গুম করা হয়েছে। জনগণকে দমন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন সর্বগ্রাসী রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।

পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তল্লাশির নামে ব্যাপক ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। এসময় তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৩৯৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মামলা হয়েছে আটটি, এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৬৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন আগে থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৯০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলা ও সংঘর্ষে ১৪ জন (সাংবাদিক ১ জন) নেতাকর্মী মারা গেছেন।

১৮টি মিথ্যা মামলায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ১৩৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।