নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আকার থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা বিঘ্নিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ যে ব্যবস্থায় চালাতো, যে ব্যবস্থায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে টাকা দিত, সেই ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ আর ফিরে আসতে পারবে না।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংস্কারের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন, পূর্ববর্তী প্রশাসন ১৯৯০ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে এবং সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামলে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং চেষ্টা করেছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আজকের মূল বিষয় কেবল ভালো নীতি বাস্তবায়ন করা নয়, বরং বিদ্যমান কাঠামোগত সমস্যাগুলোর সমাধান করা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক লক্ষ্য মানে কেবল সংস্কার বা প্রতিষ্ঠানের নাম বা পদবি পরিবর্তন করা নয়। বরং এর উদ্দেশ্য হলো ব্যবস্থার বিলুপ্তি এবং একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা।
তিনি আরও বলেন, এই অ্যাপ্রোচটি ইচ্ছাকৃতভাবে ‘এক-দফা দাবির’ সঙ্গে একীভূত করা হয়েছিল।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ে আলোচনার সময় কেবল হাসিনার পতনই নয়, বরং রাজনীতির নির্দিষ্ট পরিভাষা দাবি করা হয়েছিল। হাসিনার পতন ও ব্যবস্থার বিলুপ্তি এবং একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবির ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, সরকার কোনো সংকটে নেই, বরং উদ্যোক্তারা নতুন সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে।, ব্যবসা বাণিজ্য ভালো হবে। এখানে ট্রাস্টের ইস্যু আছে। নির্বাচন হবে, সবাই অপেক্ষায় আছে নির্বাচন হলে তারপর তারা বিনিয়োগ করবে। এটা এমন নয় যে সরকারের বড়োসড়ো ক্রাইসিস, এটা হচ্ছে বাজারে ট্রাস্ট নেই। সবাই আসলে টাকা ধরে রাখতে চাচ্ছে। নির্বাচন হবে, পাঁচ বছরের একটা সরকার আসবে, সেভাবেই টাকা রোলিং করাবে।
দেশে জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণির দরকার আছে- এমন অভিমত প্রকাশ করে মাহফুজ আলম বলেন, তারা জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে। কিন্তু গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে জাতীয় বুর্জোয়া দেখতে পারবেন না। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনায় ৮০ এর দশকের পর বুর্জোয়া শ্রেণি গড়ে উঠেছে। জনগণের টাকায় রাষ্ট্র তাদের সুযোগ করে দিয়েছে। গার্মেন্টস করার সুযোগ করে দিয়েছে। আরও বিভিন্ন পণ্য বৈচিত্র্যকরণের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা ওইখান থেকে বড় হয়েছে, কিন্তু দেশকে কী দিয়েছে?
তিনি বলেন, দেশে অনেক সংকট আসতে থাকবে। রাজনৈতিক সংঘাত অনিবার্য হবে। এটা হুমকি নয়, বরং সমাজকে ওই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। ওই জায়গায় আমরা নিয়ে আসছি না, যেখানে ডায়ালগ সম্ভব।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















