Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটা জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয় : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় নয়, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। দুর্নীতির মদতদাতা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার। আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটা জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন, সুতরাং যে ব্যাক্তি যত শক্তিশালী হোক না কেন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন নিজ প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করে যাবে। আজকাল সংবাদপত্রের পাতায় দৃষ্টি দিলেই বেনজির, মতিউর, আসাদুজ্জামান আরও কত নাম আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সমস্ত দুর্নীতির মহানায়করা সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বড় বড় সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থাকল কিভাবে? এর উত্তর কি প্রধানমন্ত্রী দিতে পারবেন। তাহলে কি কোনো ভাগ-বাটোয়ারার কারণে সমস্যা হওয়ায় এই সমস্ত নিষ্ঠুর পুলিশ কর্মকর্তাদের সব গোপন বিষয় ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে?

সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিমের নামে শিক্ষকদের বেতনে ভাগ বসিয়ে তাদের অনাহারের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বেনজীর-আজিজসহ দুর্নীতিবাজদের টাকা বাজেয়াপ্ত করে শিক্ষকদের পেনশন চালু করার দাবি জানান তিনি।

দুদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনার মুখাপেক্ষী। তার কোনো শক্ত মেরুদন্ড নেই। কিন্তু সরকারের নির্দেশমতো বিরোধী দলকে নির্যাতন করা আওয়ামী-দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ। তা না হলে বিগত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লুটপাটের সরকার যে অনিয়ম, অপচয় এবং মহাদুর্নীতিকে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্পেটের তলায় ঢেকে রাখে, সেই কমিশনারদের দ্বারা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পুলিশ এবং সরকারি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।

তিনি আরও বলেন, পর্দাকাণ্ড, বালিশকাণ্ড থেকে শুরু করে মতিউরকাণ্ড পর্যন্ত অসংখ্য কাণ্ডকারখানা এবং পাচারকৃত লুটের টাকার অনুসন্ধানে উদাসীনতা দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণ দেখে আসছে। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন ‘রিপ ভ্যান উইংক্যাল’ এর মতো ঘুমিয়ে থেকেছে। জনগণের টাকার একচেটিয়া লুণ্ঠন ও আত্মসাৎকারীদের ডামি আওয়ামী সরকার মাফ করে দিয়েছে। গায়ে দুর্নীতির কালিমাখা আওয়ামী সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা ‘জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়’। আজিজ, বেনজিরের মতো ব্যাক্তিরা, যারা নিরস্ত্র গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে নিজ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-বন্দুক দেওয়া হয় কি ঘরে রাখার জন্য। অর্থাৎ দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আন্দোলনকে কোনো প্রকার মানবতার তোয়াক্কা না করে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করার পুরস্কার হিসেবে শেখ হাসিনার আশির্বাদে তারা বিত্ত-বৈভবে প্রকান্ড স্ফীত হয়ে উঠেছিল। আলিশান বাড়ি, অসংখ্য ফ্ল্যাট, শত শত একর জমি তারা তখন করেছিল আন্দোলন দমনের কৃতিত্ব হিসেবে।

রিজভী বলেন, আফ্রিকা থেকে বর্ণবাদ বিদায় নিলেও ভারতের রাজনীতি এবং সামাজিক পরিসরে বর্ণবাদ বহাল রয়েছে। যদিও ভারতের সংবিধান সেকুলার। জার্মানীতে হিটলারের নাৎসীবাদ গড়ে উঠেছিল আর্য-রক্তের মহিমাকীর্তণে। ভারতে এখন বর্ণবাদের করালগ্রাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ক্ষতবিক্ষত। বিগত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সরাসরি মুসলমান, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলই সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখে না।

তিনি বলেন, এখন সেই দেশের সাথে বাংলাদেশের ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নানা চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ এহেন দুই সরকারের সমাঝোতার উদ্যোগ অসম এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে। এতে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি। ১৯৯৬ সালে ভারতের একটি মাসিক প্রকাশনার রিসার্চ এনালিস্ট সংঙ্গীতা থাপলিয়ান লিখেছিলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রানজিট পাওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই রেলওয়ে করিডোর স্থাপনের চুক্তি তারাই প্রতিফলন। বাংলাদেশের মানুষ কখনই দিল্লির অধীনতা-বশ্যতা মানেনি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না, যেমন পিন্ডির বশ্যতা মানেনি।

ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সফরে হওয়া চুক্তির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এখন সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নানা চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ এহেন দুই সরকারের সমাঝোতার উদ্যোগ অসম এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে। এতে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনই দিল্লীর অধীনতা বশ্যতা মানেনি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না, যেমন পিন্ডির বশ্যতা মানেনি। অসংখ্য আত্মহুতি দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা, তাই এই স্বাধীনতাকে দুর্বল করা যাবে না। বিএনপি শাসন আমলে কোনো ট্রানজিট আদায় করা ভারতের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ভারতের নীতি নির্ধারকরা বাংলাদেশ এবং জনগণের প্রতি তাচ্ছিল্লের দৃষ্টিতে দেখে। অভিন্ন নদীর পানি, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যিক ভারসাম্যসহ নানা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয় তারা। ভারতের সাথে অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের বুকচিরে রেললাইন স্থাপন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জনগণের স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা করার সামিল। বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই চুক্তি তারা কোনো দিনই মেনে নিবে না।

গত পরশু দিন থেকে সারাদেশের সকল মহানগর এবং আজ সারাদেশের সব জেলা শহরে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের চিরাচরিত চরিত্র, বৈশিষ্ট ও সংস্কৃতি ধারণ করে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্র আক্রমণ চালিয়েছে। ব্যর্থ আওয়ামী সরকার পূণরায় গুমের মত নৃশংস পন্থা অবলম্বন করে আবারো জনমনে ভীতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করেন রিজভী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটা জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয় : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় নয়, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। দুর্নীতির মদতদাতা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার। আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটা জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন, সুতরাং যে ব্যাক্তি যত শক্তিশালী হোক না কেন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন নিজ প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করে যাবে। আজকাল সংবাদপত্রের পাতায় দৃষ্টি দিলেই বেনজির, মতিউর, আসাদুজ্জামান আরও কত নাম আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সমস্ত দুর্নীতির মহানায়করা সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বড় বড় সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থাকল কিভাবে? এর উত্তর কি প্রধানমন্ত্রী দিতে পারবেন। তাহলে কি কোনো ভাগ-বাটোয়ারার কারণে সমস্যা হওয়ায় এই সমস্ত নিষ্ঠুর পুলিশ কর্মকর্তাদের সব গোপন বিষয় ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে?

সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিমের নামে শিক্ষকদের বেতনে ভাগ বসিয়ে তাদের অনাহারের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বেনজীর-আজিজসহ দুর্নীতিবাজদের টাকা বাজেয়াপ্ত করে শিক্ষকদের পেনশন চালু করার দাবি জানান তিনি।

দুদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তথাকথিত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনার মুখাপেক্ষী। তার কোনো শক্ত মেরুদন্ড নেই। কিন্তু সরকারের নির্দেশমতো বিরোধী দলকে নির্যাতন করা আওয়ামী-দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ। তা না হলে বিগত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লুটপাটের সরকার যে অনিয়ম, অপচয় এবং মহাদুর্নীতিকে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্পেটের তলায় ঢেকে রাখে, সেই কমিশনারদের দ্বারা প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পুলিশ এবং সরকারি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।

তিনি আরও বলেন, পর্দাকাণ্ড, বালিশকাণ্ড থেকে শুরু করে মতিউরকাণ্ড পর্যন্ত অসংখ্য কাণ্ডকারখানা এবং পাচারকৃত লুটের টাকার অনুসন্ধানে উদাসীনতা দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণ দেখে আসছে। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন ‘রিপ ভ্যান উইংক্যাল’ এর মতো ঘুমিয়ে থেকেছে। জনগণের টাকার একচেটিয়া লুণ্ঠন ও আত্মসাৎকারীদের ডামি আওয়ামী সরকার মাফ করে দিয়েছে। গায়ে দুর্নীতির কালিমাখা আওয়ামী সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা ‘জাতীয় কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়’। আজিজ, বেনজিরের মতো ব্যাক্তিরা, যারা নিরস্ত্র গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে নিজ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-বন্দুক দেওয়া হয় কি ঘরে রাখার জন্য। অর্থাৎ দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আন্দোলনকে কোনো প্রকার মানবতার তোয়াক্কা না করে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করার পুরস্কার হিসেবে শেখ হাসিনার আশির্বাদে তারা বিত্ত-বৈভবে প্রকান্ড স্ফীত হয়ে উঠেছিল। আলিশান বাড়ি, অসংখ্য ফ্ল্যাট, শত শত একর জমি তারা তখন করেছিল আন্দোলন দমনের কৃতিত্ব হিসেবে।

রিজভী বলেন, আফ্রিকা থেকে বর্ণবাদ বিদায় নিলেও ভারতের রাজনীতি এবং সামাজিক পরিসরে বর্ণবাদ বহাল রয়েছে। যদিও ভারতের সংবিধান সেকুলার। জার্মানীতে হিটলারের নাৎসীবাদ গড়ে উঠেছিল আর্য-রক্তের মহিমাকীর্তণে। ভারতে এখন বর্ণবাদের করালগ্রাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ক্ষতবিক্ষত। বিগত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সরাসরি মুসলমান, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলই সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখে না।

তিনি বলেন, এখন সেই দেশের সাথে বাংলাদেশের ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নানা চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ এহেন দুই সরকারের সমাঝোতার উদ্যোগ অসম এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে। এতে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি। ১৯৯৬ সালে ভারতের একটি মাসিক প্রকাশনার রিসার্চ এনালিস্ট সংঙ্গীতা থাপলিয়ান লিখেছিলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রানজিট পাওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই রেলওয়ে করিডোর স্থাপনের চুক্তি তারাই প্রতিফলন। বাংলাদেশের মানুষ কখনই দিল্লির অধীনতা-বশ্যতা মানেনি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না, যেমন পিন্ডির বশ্যতা মানেনি।

ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সফরে হওয়া চুক্তির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এখন সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নানা চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ এহেন দুই সরকারের সমাঝোতার উদ্যোগ অসম এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে। এতে বাংলাদেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ট্রানজিট ও এশিয়ান হাইওয়ের নামে শেখ হাসিনা মূলত ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ক্রীতদাস বানানোর গভীর অভিসন্ধি।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনই দিল্লীর অধীনতা বশ্যতা মানেনি এবং ভবিষ্যতেও মানবে না, যেমন পিন্ডির বশ্যতা মানেনি। অসংখ্য আত্মহুতি দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা, তাই এই স্বাধীনতাকে দুর্বল করা যাবে না। বিএনপি শাসন আমলে কোনো ট্রানজিট আদায় করা ভারতের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ভারতের নীতি নির্ধারকরা বাংলাদেশ এবং জনগণের প্রতি তাচ্ছিল্লের দৃষ্টিতে দেখে। অভিন্ন নদীর পানি, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যিক ভারসাম্যসহ নানা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয় তারা। ভারতের সাথে অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের বুকচিরে রেললাইন স্থাপন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জনগণের স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা করার সামিল। বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই চুক্তি তারা কোনো দিনই মেনে নিবে না।

গত পরশু দিন থেকে সারাদেশের সকল মহানগর এবং আজ সারাদেশের সব জেলা শহরে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের চিরাচরিত চরিত্র, বৈশিষ্ট ও সংস্কৃতি ধারণ করে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্র আক্রমণ চালিয়েছে। ব্যর্থ আওয়ামী সরকার পূণরায় গুমের মত নৃশংস পন্থা অবলম্বন করে আবারো জনমনে ভীতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করেন রিজভী।