Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আত্মবিশ্বাসের জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন : ফখরুল

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী নিজেই বলেছেন সেন্টমার্টিন দিয়ে দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে। কিন্তু সেন্টমার্টিন দেবে না। তাই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আত্মবিশ্বাসের জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন।

বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয় ভবনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলমান। ইতোমধ্যে কয়েক জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে। এ আন্দোলন আরও বেগবান হবে। এই সরকার বিরোধী দলের দাবিগুলো মেনে নিয়ে দ্রুতই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, জনগণের একটাই লক্ষ্য, তা হলো একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় আনা। আমরা বলছি না বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমরা বলছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসুক। যে পঞ্চদশ সংশোধনীর দোহাই দিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায় সেই পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধ নয়। বিচারকদের রায় বিরোধী, সংবিধান বিরোধী এটা পাস করা হয়েছিল, যেটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী রূপরেখা দেওয়া হবে। তবে দাবি একটাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগকে সরে গিয়ে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তবে এদেশের মানুষের দাবির মুখে সংসদ বিলুপ্ত করে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আওয়ামী লীগের আত্মবিশ্বাসও কমে গেছে- দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বুঝতে পেরেছেন যে তিনি ক্ষমতায় নেই এবং তিনি বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার মানুষের মুক্ত চিন্তা-ভাবনাগুলোকে সমৃদ্ধ করার কোনো চেষ্টাই করেনি, তাদের প্রচেষ্টাই ছিল শিক্ষাব্যবস্থাকে অব্যবস্থায় পরিণত করা। আর উন্নয়নের নামে কিছু স্ট্রাকচার তৈরি করে লুটপাট করা।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস প্রমুখ।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আত্মবিশ্বাসের জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী নিজেই বলেছেন সেন্টমার্টিন দিয়ে দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে। কিন্তু সেন্টমার্টিন দেবে না। তাই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আত্মবিশ্বাসের জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন।

বুধবার (২৮ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয় ভবনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলমান। ইতোমধ্যে কয়েক জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ হয়েছে। এ আন্দোলন আরও বেগবান হবে। এই সরকার বিরোধী দলের দাবিগুলো মেনে নিয়ে দ্রুতই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবে।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, জনগণের একটাই লক্ষ্য, তা হলো একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় আনা। আমরা বলছি না বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমরা বলছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসুক। যে পঞ্চদশ সংশোধনীর দোহাই দিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায় সেই পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধ নয়। বিচারকদের রায় বিরোধী, সংবিধান বিরোধী এটা পাস করা হয়েছিল, যেটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী রূপরেখা দেওয়া হবে। তবে দাবি একটাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগকে সরে গিয়ে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তবে এদেশের মানুষের দাবির মুখে সংসদ বিলুপ্ত করে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আওয়ামী লীগের আত্মবিশ্বাসও কমে গেছে- দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বুঝতে পেরেছেন যে তিনি ক্ষমতায় নেই এবং তিনি বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার মানুষের মুক্ত চিন্তা-ভাবনাগুলোকে সমৃদ্ধ করার কোনো চেষ্টাই করেনি, তাদের প্রচেষ্টাই ছিল শিক্ষাব্যবস্থাকে অব্যবস্থায় পরিণত করা। আর উন্নয়নের নামে কিছু স্ট্রাকচার তৈরি করে লুটপাট করা।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস প্রমুখ।