নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই পৃথিবীতে আওয়ামী লীগের মতো আর একটিও সন্ত্রাসী দল নেই। যারা মানুষ খুন করে, গুম করে, দেশের মানুষকে ধরে ধরে মিথ্যা মামলা দেয়। তাদের মতো জঙ্গি দল আর নেই।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠের গেটে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে মানুষ আর বিশ্বাস করে না। আপনারা দেশকে জঙ্গি দেশ বানাতে চান। আরে আপনাদের চেয়ে কি বড় জঙ্গি দেশে আছে? আপনাদের চেয়ে কি বড় সন্ত্রাসী দল আছে? যারা মানুষকে খুন করে, বাড়ি থেকে বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে যায়, কারাগারে থাকা মানুষকে হত্যা করে, পুলিশকে দিয়ে মানুষকে হত্যা করে, এসমস্ত কাজ যারা করে তারাই জঙ্গি।
এসময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, জঙ্গি কারা? সন্ত্রাসী কারা? তখন কর্মীরা সমস্বরে বলে ওঠে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় সন্ত্রাসী দল আর একটাও নেই। কোথাও পাবেন না। একটাও নাই। যারা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে হামলা করে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। নিজ দেশের মানুষকে ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে। এই জঙ্গিদের কি আর দেশে থাকতে দেওয়া যাবে? থাকতে দেওয়া যাবে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের বিপক্ষে যাবে না উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ। জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে কেউ বিজয়ী হবে না।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন জনগণের টাকা খরচ করে, ব্রিকসের সদস্য হতে, তা পারেন নাই। সেখানে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইছেন এবং বিএনপিকে গালিগালাজ করছেন। এদিক ওদিক গিয়ে কাজ হবে না। তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে বাইলেটারাল মিটিং হয় না। সেখানে অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় না।
কালো পতাকা মিছিলে আসার নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, একটি ছবি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী গেছেন। কিন্তু ব্রিকস একটি অফিসিয়ালি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে আমাদের এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী নেই। ব্রিকসের এখানে সদস্য হোক আর না হোক সবাই ছবি তুলেছেন। প্রবল মিথ্যাচারের রাজনীতি আর বাংলাদেশে চলবে না।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নেন, তখন তারা আর পিছপা হন না। স্বাধীনতা যুদ্ধে পিছপা হযননি, ভাষা আন্দোলনের পিছপা হননি। যে বারেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে বারেই তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।
সরকারকে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন,পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, সরকারি কর্মকর্তারা, বিচারক ভাইয়েরা জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না।
সবার উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়ে বলেন, দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। দেখুন কি লেখা আছে? সিদ্ধান্ত নেন। জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে অবস্থান নিবেন না আর নিলে সে দায় আপনাদের ওপর বর্তাবে।
সরকার প্রধানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রত্যেক জায়গায় আপনি প্রত্যাখিত হবেন। সবাই অবৈধকে প্রত্যাখ্যান করবে।
আগামীতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার প্রশাসন এবং বিচারকদের দিয়ে রেজিম (শাসনব্যবস্থা) তৈরি করেছে মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিচারকদের দিয়ে সাজা দিচ্ছে, পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, নতুন করে জঙ্গি খেলা খেলছে। আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় জঙ্গি কোনো দল নেই। বিশ্বে আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় কোনো সন্ত্রাসী দল নেই। তাদের আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না। । ওই জঙ্গী খেলা বিশ্ববাসী কেউ বিশ্বাস করে না। আবার নাকি জঙ্গী সংগঠন বেড়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল প্রমুখ।