Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে তখনই জনগণের আস্থা ও ভালোবাসায় বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। যতবার হেরেছে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে জনগণের বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে। একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগনের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তা প্রমাণিত। এ নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক।

আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগণের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে নিজের পদায়ন আর রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল, এরশাদও সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা গণতান্ত্রিক ধারার লঙ্ঘন করেছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধার করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের দল, কানাডার আদালত এ রায় দিয়েছে। বিএনপির ২০১৪ ও ২০১৮ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মানুষ ভুলে যায়নি। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায় নেই। বিএনপির আমলে খাম্বা ছিল, বিদ্যুৎ ছিল না। খুনি-সন্ত্রাসীদের দল বিএনপির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বিএনপি আমলের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে নির্বাচন মানে কী ছিল? প্রত্যেকটা উপ-নির্বাচন মানে ছিল, আমরা যে বলতাম দশটা হুন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠাণ্ডা। ভোট ডাকাতি করেই তাদের (বিএনপি) জন্ম, ভোট ডাকাতি করাই তাদের অভ্যাস। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে ভোট দেবে না মানুষ। আওয়ামী লীগের অধিনে সুষ্ঠু ভোটের প্রমাণ সিটি নির্বাচন।

চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্বাচন স্বচ্ছ হয়। খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা জয় লাভ করেছি। কক্সবাজার মেয়র নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন… এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা, কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজ যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের বলব, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয়, নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা যে আমরা করতে পারি সেটা কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি। কাজেই এটা নিয়ে আর কারো কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশগুলোর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, যে সব দেশ আমাদের নির্বাচনের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদেরকেও বলব, আমাদের যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা আমাদের যে উপনির্বাচনগুলো হলো, সেই নির্বাচনগুলো দেখেন কীভাবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এরপর আবার কেন প্রশ্ন ওঠে?

নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য রাজশাহী ও সিলেটবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান দলটির সভাপতি।

বিএনপি আমলের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে নির্বাচন মানে কী ছিল? প্রত্যেকটা উপনির্বাচন মানে ছিল আমরা যে বলতাম, ১০টা হুন্ডা, ২০ টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা।

তিনি আরও বলেন, ভোট ডাকাতি করেই তাদের (বিএনপি) জন্ম, ভোট ডাকাতি করাই তাদের অভ্যাস। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।

২০০১ সালের ক্ষমতায় না আসার কারণ দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটি মাত্র সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির করার মুচলেকা দিতে পারলাম না বলেই সরকারে আসতে পারেনি। চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতা থেকে হটানো হয়। সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত জোট।

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সব সময় সংগ্রাম করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর যখন বিরোধী দলে থাকে, সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ।

পঁচাত্তরে পরে বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যারা মানবাধিকার নিয়ে এত সোচ্চার ও সচেতন, তারা তখন কেন এত নিশ্চুপ ছিল, সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। কিন্তু আমরা কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার সুরক্ষা করেছি। কিন্তু আমাদের তো মানবাধিকার ছিল না, হারিয়েছি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে দায়মুক্তি আইনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ আইন বাতিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে।

রিজার্ভের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের খাবার কেনার মতো সক্ষমতা এখনও আছে। আর খাদ্যের অভাবও নেই। রিজার্ভের টাকা দিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয়ের ফান্ডের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, সেটা রিজার্ভের হিসাবে আনা যায় না। সেটা আনলে আমাদের রিজার্ভ বেশি হয়। সেগুলো বাদ দিয়ে আমরা রিজার্ভ হিসাব করবো। তাতে কিছু আসে যায় না।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই জমি আবাদ করুন। কারো কাছে যেন হাত পাততে না হয়। আমাদের এখনো যথেষ্ট রিজার্ভ আছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে তখনই জনগণের আস্থা ও ভালোবাসায় বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। যতবার হেরেছে চক্রান্ত করে হারানো হয়েছে। যখনই স্বাধীনভাবে নির্বাচন হয়েছে জনগণের বিশাল পরিমাণ ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে। একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগনের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় তা প্রমাণিত। এ নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। যেসব দেশ বা যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে তারা এসে দেখে যাক।

আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করতে হয় না : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ একমাত্র সংগঠন, যারা মানুষের কথা বলে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেই জনগণের কল্যাণ হয়েছে। আর অন্যরা জনগণের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে নিজের পদায়ন আর রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল, এরশাদও সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা গণতান্ত্রিক ধারার লঙ্ঘন করেছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধার করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের দল, কানাডার আদালত এ রায় দিয়েছে। বিএনপির ২০১৪ ও ২০১৮ সালের অগ্নিসন্ত্রাস মানুষ ভুলে যায়নি। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায় নেই। বিএনপির আমলে খাম্বা ছিল, বিদ্যুৎ ছিল না। খুনি-সন্ত্রাসীদের দল বিএনপির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বিএনপি আমলের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে নির্বাচন মানে কী ছিল? প্রত্যেকটা উপ-নির্বাচন মানে ছিল, আমরা যে বলতাম দশটা হুন্ডা ২০টা গুন্ডা নির্বাচন ঠাণ্ডা। ভোট ডাকাতি করেই তাদের (বিএনপি) জন্ম, ভোট ডাকাতি করাই তাদের অভ্যাস। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে ভোট দেবে না মানুষ। আওয়ামী লীগের অধিনে সুষ্ঠু ভোটের প্রমাণ সিটি নির্বাচন।

চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্বাচন স্বচ্ছ হয়। খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা জয় লাভ করেছি। কক্সবাজার মেয়র নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন… এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা, কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজ যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের বলব, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয়, নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা যে আমরা করতে পারি সেটা কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি। কাজেই এটা নিয়ে আর কারো কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশগুলোর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, যে সব দেশ আমাদের নির্বাচনের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদেরকেও বলব, আমাদের যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা আমাদের যে উপনির্বাচনগুলো হলো, সেই নির্বাচনগুলো দেখেন কীভাবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এরপর আবার কেন প্রশ্ন ওঠে?

নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য রাজশাহী ও সিলেটবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান দলটির সভাপতি।

বিএনপি আমলের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে নির্বাচন মানে কী ছিল? প্রত্যেকটা উপনির্বাচন মানে ছিল আমরা যে বলতাম, ১০টা হুন্ডা, ২০ টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা।

তিনি আরও বলেন, ভোট ডাকাতি করেই তাদের (বিএনপি) জন্ম, ভোট ডাকাতি করাই তাদের অভ্যাস। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।

২০০১ সালের ক্ষমতায় না আসার কারণ দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটি মাত্র সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির করার মুচলেকা দিতে পারলাম না বলেই সরকারে আসতে পারেনি। চক্রান্ত করে আমাদের ক্ষমতা থেকে হটানো হয়। সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত জোট।

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সব সময় সংগ্রাম করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর যখন বিরোধী দলে থাকে, সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ।

পঁচাত্তরে পরে বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যারা মানবাধিকার নিয়ে এত সোচ্চার ও সচেতন, তারা তখন কেন এত নিশ্চুপ ছিল, সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। কিন্তু আমরা কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার সুরক্ষা করেছি। কিন্তু আমাদের তো মানবাধিকার ছিল না, হারিয়েছি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে দায়মুক্তি আইনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ আইন বাতিলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে।

রিজার্ভের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের খাবার কেনার মতো সক্ষমতা এখনও আছে। আর খাদ্যের অভাবও নেই। রিজার্ভের টাকা দিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয়ের ফান্ডের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, সেটা রিজার্ভের হিসাবে আনা যায় না। সেটা আনলে আমাদের রিজার্ভ বেশি হয়। সেগুলো বাদ দিয়ে আমরা রিজার্ভ হিসাব করবো। তাতে কিছু আসে যায় না।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই জমি আবাদ করুন। কারো কাছে যেন হাত পাততে না হয়। আমাদের এখনো যথেষ্ট রিজার্ভ আছে।