Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল : পরশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এ কারণে বিএনপি-জামায়াতের আক্রোশ এ দেশের জনগণের ওপর। আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশের জনগণ। এ কারণে বার বার তারা এ দেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ২০০৫ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়, তারা এ দেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বানাতে চায়। তখন তারা শুধু ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন নয়, প্রতিদিনই তারা জন্মদিন পালন করবে, উৎসব করবে। এটাই হলো বিএনপির আসল চরিত্র।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা, বাঙালির পরিচয় বিনষ্ট করা, ষড়যন্ত্র ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রগুলো ধ্বংস করা, আমাদের গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, অর্থনীতির স্তম্ভগুলো ধূলিসাৎ করা। ১৫ আগস্টের মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হত্যার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে। সেই হত্যার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান। রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যা করে, নারী ও শিশুদের যারা রক্ষা দেয়নি, তারা আবার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনৈতিক দল করে গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। আমাদের কথা বলার ভাষা থাকে না। আমরা ২১ বছর কোনো বিচার পাইনি। দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে।

পরশ বলেন, কোনো মানুষের পক্ষে ওই দুর্বিষহ, অপরিসীম সাহস দেখানো সম্ভব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৫ বছরের অপেক্ষার মাধ্যমে, বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ওপর হুমকি উপেক্ষা করে তিনি এই খুনিদের বিচার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করলো। তারা আঘাত করলো প্রেস ক্লাবে কারণ তারা ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ অত্যাচার, খুন, হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের এ সব হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের আর্তনাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করে এ কারণেই প্রেস ক্লাবে বোমা হামলা চালায়। তারা আঘাত করলো বিচারালয়ে। যেন বিচারক এবং সাধারণ মানুষ ভয় পায়। তারা আজও সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হত্যার ষড়যন্ত্র এবং লাশ ফেলানো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশের জনগণ। এ কারণে বার বার বিএনপি-জামায়াত এদেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ডের ঘটনায় কোনো কোনো রাজনৈতিক ফায়দা লুটের চেষ্টা করছেন, কোনো লাভ হবে না : রিজভী

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল : পরশ

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এ কারণে বিএনপি-জামায়াতের আক্রোশ এ দেশের জনগণের ওপর। আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশের জনগণ। এ কারণে বার বার তারা এ দেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে হত্যা করে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ২০০৫ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়, তারা এ দেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান বানাতে চায়। তখন তারা শুধু ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন নয়, প্রতিদিনই তারা জন্মদিন পালন করবে, উৎসব করবে। এটাই হলো বিএনপির আসল চরিত্র।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা, বাঙালির পরিচয় বিনষ্ট করা, ষড়যন্ত্র ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রগুলো ধ্বংস করা, আমাদের গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, অর্থনীতির স্তম্ভগুলো ধূলিসাৎ করা। ১৫ আগস্টের মূল মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য হত্যার মাধ্যমে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে। সেই হত্যার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান। রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যা করে, নারী ও শিশুদের যারা রক্ষা দেয়নি, তারা আবার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনৈতিক দল করে গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে। আমাদের কথা বলার ভাষা থাকে না। আমরা ২১ বছর কোনো বিচার পাইনি। দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে।

পরশ বলেন, কোনো মানুষের পক্ষে ওই দুর্বিষহ, অপরিসীম সাহস দেখানো সম্ভব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৫ বছরের অপেক্ষার মাধ্যমে, বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে, লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ওপর হুমকি উপেক্ষা করে তিনি এই খুনিদের বিচার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট তারা দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করলো। তারা আঘাত করলো প্রেস ক্লাবে কারণ তারা ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ অত্যাচার, খুন, হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের এ সব হত্যাকাণ্ড, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষের আর্তনাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করে এ কারণেই প্রেস ক্লাবে বোমা হামলা চালায়। তারা আঘাত করলো বিচারালয়ে। যেন বিচারক এবং সাধারণ মানুষ ভয় পায়। তারা আজও সেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। হত্যার ষড়যন্ত্র এবং লাশ ফেলানো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। আওয়ামী লীগ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এ দেশের জনগণ। এ কারণে বার বার বিএনপি-জামায়াত এদেশের মানুষকে ভিকটিম বানায়, তাদের ওপরেই আঘাত করে, অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।